তীব্র গতিতে একটি মোটরবাইককে আসতে দেখে সেটি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন নাকা তল্লাশিতে থাকা পুলিশকর্মীরা। কিন্তু চালক বাইক না থামিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত এক ট্র্যাফিক সার্জেন্ট তাঁকে থামার নির্দেশ দেন। অভিযোগ, এর পরেও বাইক তো থামেইনি, উল্টে বেপরোয়া ওই চালক সোজা ধাক্কা মারেন সার্জেন্টকে। জখম ওই সার্জেন্টকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় বাইকচালককে। তাঁর নাম আনন্দ ঝা।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজার থানা এলাকার মহাত্মা গান্ধী রোড এবং কলাকার স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। অভিযুক্ত বাইকচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, কর্তব্যরত পুলিশকে আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। আনন্দের বাড়ি হাওড়ার গোলাবাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম সার্জেন্টের নাম সুমন্ত রায়চৌধুরী। তিনি হাওড়া ব্রিজ ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত। তাঁর পায়ে এবং পেটে চোট লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সুমন্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে নাকা তল্লাশি চলছিল মহাত্মা গান্ধী রোড এবং কলাকার স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। এর পাশাপাশি, মত্ত অবস্থায় থাকা চালকদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানান, নাকা তল্লাশিতে ওই সার্জেন্টের সঙ্গে ডিউটিতে ছিলেন বড়বাজার থানার দুই অফিসার আর চৌধুরী ও বি মাহাতো। তাঁরাই প্রথম অভিযুক্ত বাইকচালককে থামার নির্দেশ দেন। কিন্তু, বাইক না থামিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়েই সুমন্তকে ধাক্কা মারেন আনন্দ। আহত হওয়ার পাশাপাশি সার্জেন্টের উর্দিও ছিঁড়ে যায়। কেন চালক পুলিশের নির্দেশ অমান্য করলেন, তা দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)