পুর-কাউন্সিলরদের মধ্যে গোলমালের জেরে আহত হলেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তৃণমূলেরই এক ব্লক সভাপতি। শুক্রবার, মহেশতলা পুরসভার লস্কর পাড়ার ঘটনা। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত কাউন্সিলর-সহ পাঁচ জন। পুলিশ জানায়, আহতেরা হলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস হালদার এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন রায়চৌধুরী ও ব্লক সভাপতি সব্যসাচী বসু।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় তৃণমূল অফিস, মোটরবাইক ভাঙচুর করেন এবং ওই তিন জনকে মারধর করেন। অভিযোগ, সিরাজুলের ওয়ার্ডের কিছু যুবক ক’দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে কিছু দিন ধরে সিরাজুল তৃণমূল নেতাদের মারার হুমকি দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, শুক্রবারই তিনি দলবল-সহ তাঁর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করেন। পরে বেশি রাতে ওই দুই কাউন্সিলর ও ব্লক সভাপতির বাড়িতে আক্রমণ ও তাঁদের ভোজালি দিয়ে আঘাত করেন। খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীরা পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে পিজিতে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিরাজুল আগে সিপিএম কর্মী ছিলেন। গত পুর-নির্বাচনে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন। এর পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর গোলমালের শুরু বলে অভিযোগ। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন, ‘‘সিরাজুল প্রায়ই ঝামেলা করতেন। শুক্রবারও মারধর ও ভাঙচুরের পরে তিনি গ্রেফতার হন।’’
কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিকল্পনা করে তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর-সহ ব্লক সভাপতিকে খুন করার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে পৌঁছই। সিরাজুল ও তাঁর দলবলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy