চিৎপুর থানা এলাকার ঘোষবাগানে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপাল বর্মণ ও ভিকি বর্মণ নামে ওই দু’জনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের সোমবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর মামলা রুজু হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, ঘোষবাগানের বাসিন্দা ছোটু কাহারের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত গোপাল ও ভিকিকে ২০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফজাতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ছোটুর স্ত্রী রীতা। তবে আর এক অভিযুক্ত পটলা এখনও পলাতক। অভিযুক্তেরা সকলেই ছোটুর পরিচিত এবং একই এলাকার বাসিন্দা বলে সূত্রের দাবি।
তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। ওই দিন মদ্যপানকে কেন্দ্র করে ছোটুর সঙ্গে বচসা বাধে অভিযুক্তদের। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে গোপাল, ভিকি ও পটলা। রাতেই তিন জনের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় জেনারেল ডায়েরি করেন ছোটু। তাঁর স্ত্রী রীতা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, রাতে ছোটু বাড়িতে না ফিরে রাস্তায় ছিল। তখন ওই তিন জন ফের তাঁকে মারধর করে ফেলে রেখে যায়। শনিবার একটি সূত্র মারফত গোটা ঘটনা জানতে পেরে স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন রীতা। সেখানেই পরে মারা যান ছোটু। রীতার আরও অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার জন্যই তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, রীতার অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে চিকিৎসকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ছোটুর দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে পড়ে গিয়ে মাথার ডান দিকে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy