প্রতীকী ছবি।
পিঠে ব্যাগ নিয়ে রাস্তার ধারে ঘোরাঘুরি করছিল কয়েক জন যুবক। চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল, তারা ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। একই জায়গায় দীর্ঘক্ষণ তাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীদের। সন্দেহভাজন ওই তিন জনকে লালবাজারে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশকর্মীরা জানতে পারেন তারা ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালককে বিভ্রান্ত করে কেপমারি করা একটি চক্রের সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার হাজরা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতারের পরে শহরের বুকে ফের ভিন্ রাজ্যের ওই চক্রের সন্ধান মিলেছে। ধৃতেরা প্রত্যেকে দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তারা দিল্লির মদনবিহারে থাকছিল। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা বৃহস্পতিবার বৌবাজার থানা এলাকার যদুনাথ দে স্ট্রিটে এক জনের গাড়ির িভতর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের হিরের গয়না এবং নগদ টাকা তুলে নিয়েছিল।
ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তারকনাথ মণ্ডল জানান, ধৃত আকাশ, মারিয়াপ্পা এবং সাহিলকে শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ধৃতেরা রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাড়ি বা সিগন্যালে দাঁড়ানো গাড়ির চালকদের এসে বলত, তাঁদের গাড়ি থেকে তেল পড়ছে। চালক গাড়ি থেকে নেমে তা দেখতে যেতেই চক্রের এক জন গাড়িতে থাকা টাকা বা গয়না বা ল্যাপটপ-সহ ব্যাগ নিয়ে উধাও হয়ে যেত। চালক তেল বা কিছু দেখতে না পেয়ে গাড়িতে এসে দেখতেন, তাঁর জিনিসপত্র উধাও। উধাও সেই যুবকও। ওই একই কায়দায় বৃহস্পতিবার ধৃতেরা চুরি করেছিল বলে দাবি পুলিশের। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত ধৃতদের কাছ থেকে ওই চুরির মাল উদ্ধার করতে পারেননি লালবাজারের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ওই চক্রের আরও কয়েক জন রয়েছে। তাদের ধরা গেলেই চুরি যাওয়া জিনিস উদ্ধার করা যাবে। গোয়েন্দারা জানান, গত বছর শহরে একই কায়দায় কেপমারি বা প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার বৌবাজারের ওই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হতেই পুরনো ঘটনার কথা মাথায় রেখেই গোয়েন্দা দলকে সতর্ক করা হয়। আর তাতেই জালে পড়ে ওই অভিযুক্তেরা। পুলিশের অনুমান, গত বারের দলটির সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগাযোগ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy