Advertisement
E-Paper

দু’টি তক্ষক-সহ ধৃত ২

তক্ষকের গলার অংশ থেকে এডস নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়। তা ছাড়াও তক্ষক থেকে খুব দামি বলবর্ধক ওষুধও তৈরি করে তারা। সেই কারণেই চিন দেশে এই তক্ষকের খুব কদর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

তক্ষকের গলার অংশ থেকে এডস নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়। তা ছাড়াও তক্ষক থেকে খুব দামি বলবর্ধক ওষুধও তৈরি করে তারা। সেই কারণেই চিন দেশে এই তক্ষকের খুব কদর।

রবিবার বারাসতের কাছে দু’টি তক্ষক-সহ দুই ব্যক্তিকে ধরার পরে কলকাতার শুল্ক অফিসারদের কাছে এমনই দাবি করেছে তারা। জানা গিয়েছে, এক-একটি তক্ষক ৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকা দামে বিকোয়। দাম নির্ভর করে আকারের উপরে। ওই তক্ষক পাওয়া যায় চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়। সেখান থেকে খাঁচায় ভরে তক্ষক নিয়ে আসা হয় বসিরহাট সীমান্তে। যে দু’জন ধরা পড়েছেন, তাঁরা বসিরহাট থেকে তক্ষক নিয়ে ক্রেতা খুঁজছিলেন। বেচতে পারলে প্রতিটি তক্ষকের জন্য তাঁদের লভা হত ২০ হাজার টাকা।

রবিবার ক্রেতা সেজে শুল্ক দফতরের প্রিভেনটিভ শাখার অফিসারেরা যোগাযোগ করেন ওই দু’জনের সঙ্গে। উত্তর ২৪ পরগনার বিড়ার কাছে একটি বাড়িতে মাটিতে মশারি টাঙিয়ে তার ভিতরে রাখা ছিল দু’টি তক্ষক। প্রিভেনটিভ শাখার কমিশনার পার্থ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, পাচারকারীরা ৮-১০টি তক্ষক একসঙ্গে চিনে পাঠিয়ে দিতেন। কলকাতা থেকে চিনের কুনমিং শহর পর্যন্ত একমাত্র সরাসরি উড়ান রয়েছে। কখনও সেই বিমানের পেটে, কখনও আবার জয়গাঁও হয়ে ভুটান ঘুরে চিনে পাঠানো হতো তক্ষক।

এই দু’টি তক্ষক শুল্ক অফিসারেরা পেয়েছেন, তার মধ্যে একটি ১৪ ইঞ্চি, অন্যটি ১৬ ইঞ্চি লম্বা। সেগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্য পাচারকারীদের খোঁজ চলছে।

Arrest Tokay gecko
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy