Advertisement
E-Paper

হাতেকলমে বিজ্ঞান শিক্ষায় পড়ুয়া-সম্মেলন

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষকেদের নিয়ে তৈরি সায়েন্স কমিউনিকেটর্স ফোরাম এই সম্মেলন পরিচালনা করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০

পরিষ্কার হাতের ছোঁয়া না পেলে খুলবেই না টিফিন বাক্স। জ্বলন্ত কুপির ধোঁয়া থেকে দূষণ তো হবেই না, বরং তা ফোটোকপির কালি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

এ ভাবেই উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বানানো জিনিস নিয়ে কলকাতায় হাজির হল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া। শনি ও রবিবার দু’দিনের ‘জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস’-এ স্কুলপড়ুয়াদের তৈরি নানা জিনিস নিয়ে সম্মেলন হয়। রবিবার, সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে হাজির ছিল কয়েকশো পড়ুয়া। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষকেদের নিয়ে তৈরি সায়েন্স কমিউনিকেটর্স ফোরাম এই সম্মেলন পরিচালনা করে। উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পড়ুয়ারা যে সব জিনিস বানায়, সেগুলি নিয়েই এই সম্মেলন। কয়েক দশক ধরে প্রথমে জেলা ও পরে রাজ্য হয়ে জাতীয় স্তরে সম্মেলন হচ্ছে। এখান থেকেই সেরা ৩০টি ‘আবিষ্কার’ বেছে নেওয়া হয়েছে জাতীয় স্তরের জন্য। দুর্গাপুরের একটি সিবিএসই স্কুলের পড়ুয়া অঙ্গনা মজুমদার। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী তৈরি করেছে স্মার্ট টিফিন বাক্স। পদ্ধতি এমনই যে হাত অপরিষ্কার থাকলে খুলবেই না বাক্সটি। যান্ত্রিক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে ওই বাক্সের সঙ্গে রাখা হয়েছে ‘স্যানিটাইজার’। সেখানে হাত পরিষ্কার করে তবেই খুলবে বাক্স। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অঙ্গনা ও তার সহযোগী পারমিতা দাস এই বাক্সটি তৈরি করেছে।

এর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির এক পড়ুয়া কুপির আগুন থেকে বেরোনো কালো ধোঁয়া থেকে জেরক্সের কালি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, ওই ধোঁয়া যেন বায়ুদূষণ করতে না পারে, তার জন্য ধোঁয়া পরিস্রুত করেছে সে। শুধু তা-ই নয়, পুরুলিয়ার এক ছাত্রী ডেঙ্গি রোধে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে জমা জল পরিষ্কার করার কাজ করেছে। সায়েন্স কমিউনিকেটর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্ধন বলেন, ‘‘বিজ্ঞান পড়তে হলে হাতে-কলমে জানতে হয়। শুধু বই পড়ে বিজ্ঞান শেখা যায় না। সমাজ থেকে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান শিখতে হয় এবং তা বাস্তাবে কাজে লাগাতে হয়। এটা ছাত্রছাত্রীরা শিখে ফেলতে পারলে বিজ্ঞানের আরও উন্নতি হবে।’’

বিজ্ঞানের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। বিজ্ঞানের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞানের আসল মজাটাই পড়ুয়ারা পায় না, তাই আগ্রহ কমছে। অভিজিৎবাবু জানান, নিজের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোনও নতুন জিনিস তৈরির যে মজা, তার প্রতি এক বার পড়ুয়াদের ঝোঁক বাড়লে আর পিছন ফিরে দেখতে হবে না।

Conference National Children's Science Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy