প্রতীকী ছবি
সিভিক ভলান্টিয়ার হাত দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে থেমেছিল ছোট মালবাহী গাড়িটি। পিছনে তিন সওয়ারি আসছিলেন একটি বাইকে চেপে। আচমকাই সামনে ওই মালবাহী গাড়িটি দাঁড়িয়ে যেতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটির পিছনে ধাক্কা মারলেন বাইকচালক। সোনারপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চালক-সহ দুই বাইক সওয়ারির। আহত হন এক জন। ঘটনাটি ঘটে হরিনাভিতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। ভাঙচুর হয় পুলিশের গাড়িও।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জয় সিংহ (৪২)। কিন্তু চালক ও তৃতীয় সওয়ারির পরিচয় রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। এ দিন বিকেলে সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভি সংলগ্ন বেলতলা মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের একটি দল রাস্তায় নাকা তল্লাশি করছিল। সেই সময়ে বারুইপুরের দিক থেকে আসা একটি মালবাহী গাড়িকে হাত দেখিয়ে থামানো হয়। গাড়িটি আচমকা থামতেই পিছনে থাকা একটি মোটরবাইক সেটিতে তীব্র গতিতে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাইকের তিন সওয়ারি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জয় নামের ওই সওয়ারির এবং চালকের। আহত সওয়ারি সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিচয়ও রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।
এ দিকে ওই ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় হরিনাভি সংলগ্ন বেলতলা মোড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষার নামে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা টাকা আদায় করেন। এ দিনও তা-ই হচ্ছিল। এক সিভিক ভলান্টিয়ার লাঠি উঁচিয়ে মালবাহী গাড়িটিকে থামান। সেটি আচমকা দাঁড়িয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনা ঘটে। বাইকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালবাহী গাড়িটিতে ধাক্কা মারেন।
যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননি পুলিশ আধিকারিকেরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, দুর্ঘটনায় মৃত বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট ছিল না। তার জেরেই ওই বিপত্তি। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর দাবি, ‘‘টাকা আদায়ের কোনও ব্যাপার নেই। তিন বাইকআরোহীর কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। বাইকের গতিও যথেষ্ট বেশি ছিল বলে শুনেছি। তাই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
এ দিন ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা কাছাকাছি দাঁড়ানো একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে পথ অবরোধ। পরে সোনারপুর থানা থেকে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy