ফাইল চিত্র।
পর পর দু’দিন মাস্টারদা সূর্য সেন এবং নেতাজি মেট্রো স্টেশনে দু’টি ঘটনায় সাময়িক দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীদের একাংশ। বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিট নাগাদ কুঁদঘাট সংলগ্ন নেতাজি স্টেশনে কবি সুভাষগামী এসি রেকের একটি কামরা প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে গিয়ে থামে। ওই কামরার দরজা প্ল্যাটফর্মের বাইরে থাকায় যাত্রীরা নামতে পারেননি। পরে কন্ট্রোল রুমকে জানিয়ে ট্রেনটি মিনিট চারেকের মধ্যে প্ল্যাটফর্মের ঠিক জায়গায় এসে থামে। যাত্রী ওঠা-নামার পরে সেটি ৯টা ১০ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষের উদ্দেশে
রওনা হয়।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর তুলনায় পুরনো মেট্রোয় প্ল্যাটফর্মের সামনে ও পিছনে অনেকটা করে জায়গা রয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, কম বেশি ২০ ফুট জায়গা থাকা সত্ত্বেও কেন চালক ট্রেনটিকে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থামাতে পারলেন না? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে মেট্রোর কন্ট্রোল রুম। কারণ মেট্রোর ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মের বাইরে গিয়ে ট্রেন থামানো সিগন্যাল লঙ্ঘনেরই শামিল।
অপর ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণী সংলগ্ন মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনের লিফটে আটকে পড়েন বছর পঞ্চান্নর এক মহিলা ও তাঁর পুত্রবধূ। পুলিশ ও দমকলের সাহায্যে প্রায় ৪০ মিনিট পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। মেট্রো সূত্রের খবর, বিবেকানন্দ পার্ক এলাকার বাসিন্দা আরতি ঘোষ (৫৫) ও তাঁর পুত্রবধূ স্বাগতা ঘোষ (২৭) ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ স্টেশনের লিফট দিয়ে নামার সময়ে আটকে পড়েন। লিফটের দরজা না খোলায় তাঁরা চিৎকার করে বিষয়টি মেট্রোকর্মীদের জানান। খবর যায় পুলিশ এবং দমকলে। কিছু ক্ষণ পরে মেট্রোর লিফট সারাই এবং দমকলের কর্মীরা আসেন। সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তাঁদের লিফটের দরজা খুলে বার করা হয়। এই ঘটনায় কেউ আহত বা অসুস্থ না হলেও আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশ্ন ওঠে মেট্রোর লিফটের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। যদিও মেট্রো সূত্রের খবর, দরজার নির্দিষ্ট লিভার কাজ না করায় ওই বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy