কখনও মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় মারধর, কখনও ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মানায় বাইকচালকের হাতে হেনস্থা, আবার কখনও হেলমেটহীন মোটরবাইক চালকের হাতে নিগ্রহের শিকার। পুলিশের উপরে নিগ্রহের ঘটনা যে থেমে থাকছে না, সোমবার শহরের দু’প্রান্তের দুটো ঘটনা তা ফের প্রমাণ করল।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে পার্ক সার্কাসের সাত মাথার মোড়ের কাছে ডিউটি করছিলেন ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট সৌম্যদীপ দাস। পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল দশটা নাগাদ পার্ক সার্কাস সাত মাথা থেকে গড়িয়াহাটের দিকে হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে আসছিলেন এক যুবক। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট চালককে আটকান। অভিযোগ, উল্টে সার্জেন্টকে হেনস্থা করেন বছর কুড়ির ওই বাইকচালক। প্রতিবাদ করায় ওই চালক সার্জেন্টের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন। এমনকী অভিযোগ, স্থানীয় দু’জন যুবককে ডেকে এনে তাঁরা সার্জেন্টকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে এলে মোটরবাইক ফেলে ওই তিন যুবক এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। কড়েয়া থানার পুলিশ বাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে। অজ্ঞাতপরিচয় ওই তিন জন যুবকের বিরুদ্ধে কড়েয়া থানায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অন্য দিকে, সোমবার রাতে বন্দর এলাকার নাদিয়ালের এক বাসিন্দা থানায় গিয়ে এক পুলিশ অফিসারকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, নৌমান খান নামের নাদিয়ালের বাসিন্দার সঙ্গে তাঁর এক প্রতিবেশীর সম্পত্তি
নিয়ে বিবাদ চলছে। ওই মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের রায় অমান্য করে তাঁকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নাদিয়াল থানার কর্তব্যরত সাব ইনস্পেক্টরকে হুমকি দিয়েছিলেন নৌমান। এর প্রতিবাদ করায় ওই পুলিশ অফিসারকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার রাতেই নাদিয়াল থানার পুলিশ নৌমানকে গ্রেফতার করে। এ দিন ধৃতকে আলিপুর আদালত ২২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy