Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

যুবককে নগ্ন করার অভিযোগে ধৃত দুই

শনিবার সন্ধ্যায় ইএম বাইপাসে কর্তব্যরত এক সার্জেন্ট নগ্ন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় উদ‌্ভ্রান্তের মতো হাঁটতে দেখে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশকে তিনি জানান, রেস্তরাঁয় মদ খেয়ে বিল না মেটানোয় লিচুয়ান এবং সুব্রত তাঁকে জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৯
Share: Save:

বিলের টাকা না দিতে পারায় এক ব্যক্তিকে নগ্ন করে রাস্তায় বার করে দেওয়ার অভিযোগে ট্যাংরার চিনেপাড়ার এক রেস্তরাঁর মালিক-সহ দু’জনকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন রেস্তরাঁর মালিক লিচুয়ান চ্যাং ও কর্মী সুব্রত দাস।

শনিবার সন্ধ্যায় ইএম বাইপাসে কর্তব্যরত এক সার্জেন্ট নগ্ন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় উদ‌্ভ্রান্তের মতো হাঁটতে দেখে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশকে তিনি জানান, রেস্তরাঁয় মদ খেয়ে বিল না মেটানোয় লিচুয়ান এবং সুব্রত তাঁকে জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করেন। প্রথমে ওই ব্যক্তি এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। গভীর রাতে তিনি অভিযোগ জানালে ধরা হয় ওই দু’জনকে।

যদিও এ দিন তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির জামাকাপড় জোর করে খোলানো হয়েছে, এমন নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। তবে এটা ঠিক, বিল মেটানো নিয়ে বচসা হয়েছিল। একটি সূত্রের দাবি, ওই ব্যক্তি নিজেই জামাকাপড় খুলে রেস্তরাঁ থেকে বেরোন। তিনি এমন কাজ করলেও কেন কর্তৃপক্ষ বাধা দিলেন না? উঠেছে প্রশ্ন। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা হতবাক হয়েছিলেন। আগেও ওই ব্যক্তি ট্যাংরার কয়েকটি রেস্তরাঁয় মদ খেয়ে বিল দেননি বলে সূত্রের দাবি। সেই কারণেই বিল মেটানোর জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন লিচুয়ান এবং রেস্তরাঁর কর্মীরা। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, রেস্তরাঁয় আসা অন্যদের সামনে মত্ত ওই ব্যক্তিকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি কর্মীরা। কিন্তু ঘটনাটা যে এমন মাত্রা নেবে তা-ও আঁচ করতে পারেননি তাঁরা।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার এক রেস্তরাঁয় ঢুকে বেলেঘাটার ওই বাসিন্দা প্রায় দেড় হাজার টাকার মদ খান। কিন্তু বিল দেওয়ার সময়ে জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। অভিযোগ, এর পরেই তাঁর জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করেন রেস্তরাঁকর্মীরা। পুলিশের দাবি, মানসিক সমস্যা রয়েছে ওই ব্যক্তির। কয়েক দিন আগে বেলেঘাটার বাড়িতে অসুস্থ মাকে তালাবন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মারা যান তিনি। শনিবারই ওই বৃদ্ধার দেহ তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশি জেরায় প্রথমে অসংলগ্ন কথা বলছিলেন ওই ব্যক্তি। ঠিকানা বলেছিলেন, বেলেঘাটা। এর পরেই বেলেঘাটা থানায় যোগাযোগ করেন অফিসারেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE