—প্রতীকী চিত্র।
প্রথমে ফোনে ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের ক্রেডিটকার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত। এর পরে সেই তথ্য দিয়ে অনলাইনে কেনা হত মোবাইল। যা সরবরাহ করা হত পঞ্জাবে। তার পরে ভুয়ো বিলবানিয়ে সেই মোবাইল বিক্রি করে দেওয়া হত জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন ডিলারের কাছে। অনলাইনে একটি প্রতারণার ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতারের পরে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম করণ গুপ্ত এবং ডিম্পিকুমার। করণের বাড়ি পঞ্জাবের ভাটিন্ডায়, ডিম্পি পাটিয়ালার বাসিন্দা। সেখান থেকেই ওই দু’জনকে গত শনিবার গ্রেফতার করেছেন সিআইডি-র সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারীরা। এর পরে ধৃতদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতা এনে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দু’জনের কাছ থেকে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা, রাজ্য পুলিশের এক কর্মী অভিযোগ করেন, তাঁকে ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করেছিল। ওই ব্যক্তি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়েঅনলাইনে একটি মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ফোন কিনেছে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ওই মোবাইলটি পাঠানো হয়েছে পঞ্জাবের ভাটিন্ডায়। কিন্তু সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায়।
এক অফিসার জানান, বারামুলায় সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যবহারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানাযায়, তিনি ফোনটি কিনেছেন স্থানীয় একটি দোকান থেকে। সেটির রসিদও রয়েছে তাঁর কাছে, যা আসল। এর পরে গোয়েন্দারা ওই দোকানে যোগাযোগ করে জানতেপারেন, তারা মোবাইল সংস্থার ডিলারের কাছ থেকে ওই ফোনটি কিনেছে উপযুক্তরসিদ দেখে।
সংশ্লিষ্ট ডিলার সিআইডি-কে জানিয়েছেন, তাঁকে ওই মোবাইলটি বিক্রি করেছে পঞ্জাবের এক জন। এর পরেই ওই মোবাইলকেনার নথি দেখে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, প্রতারকেরা ভুয়োনথি বানিয়ে ফোনটি বিক্রি করেছে ডিলারকে।
এক তদন্তকারী জানান, গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে একটিচক্র। ধৃত দু’জনকে জেরা করে চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy