বাড়ির কল থেকে আগে জল নেবে কে, তা নিয়েই বিবাদ। এর জের এক তরুণী এবং তাঁর মাকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তরুণীর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ইট দিয়ে মেরে তাঁর মায়ের মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহত মহিলাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ (এনআরএস) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। শুক্রবারের এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে সেখানকার একটি বস্তিতে।
অভিযোগকারিণীর দাবি, বাড়ির কলে জলের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে পাশের ঘরের বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ লাইন ছাড়াই কলে নিজের জলের পাত্র পেতে দিলে বচসা শুরু হয়। তখনই হঠাৎ আরিফ ওই মহিলাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। মেয়ের হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে এর পরে আক্রান্ত হন তাঁর মা-ও। আরিফের সঙ্গে যোগ দেন মহম্মদ আরমান নামে এক কিশোরও। মায়ের দাবি, ‘‘রাস্তায় ফেলে আমাদের মেরেছে। মেয়ের পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে। সেই সময়ে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবাদ করতে গেলে এর পরে একটি ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করা হয়। তার পরে আর জ্ঞান ছিল না।’’
প্রতিবেশীরাই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মাথায় সেলাই পড়ে। ওই মহিলার ডান হাত এবং কোমরেও চোট লেগেছে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ঘটনার পরে আরমান এবং আরিফ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলের দিকে ওই মহিলার বাড়ির মালিকেরা থানায় গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। আক্রন্ত মহিলার পরিবার অবশ্য ঘটনার বিহিত হোক এমনটাই চাইছেন। তাঁর স্বামী বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই মিটিয়ে নেওয়া যাবে না। আগেও এ রকম ঘটেছে। ওঁদের শাস্তি চাই।’’
আটকদের পরিবারের অবশ্য দাবি, মা-মেয়েই প্রথমে আরিফদের ধাক্কা মারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy