প্রতীকী ছবি।
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার ভোরে, কড়েয়া থানার তিলজলা রোডের একটি কারখানায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ৪২বি তিলজলা রোডের বাসিন্দা ইব্রার আলম ওরফে আয়াজ খান (৩৩) নামে ওই যুবক বৃহস্পতিবার রাতে ১৬৮, তিলজলা রোডের ওই কারখানায় ঘুমোতে গিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সকালে তাঁর বাড়িতে ফোন করে এক জন জানান, আয়াজকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পরিজনেদের অভিযোগ, হাসপাতালে আয়াজের দেহ দেখে তাঁদের মনে হয়েছে এটি একটি খুনের ঘটনা। কারণ, যে যুবক রাতে আয়াজের সঙ্গে কারখানায় ছিলেন, তিনি জানিয়েছেন কারখানায় চামড়া বোঝাই করা ছিল। আয়াজের উপরে সেই চামড়া পড়ে যাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ওই যুবকের। কিন্তু ভারী কিছু জিনিস কারও উপরে পড়ে গেলে যে দাগ হয়, তা দেখা যায়নি বলে জানায় হাসপাতাল। বরং আয়াজের কপালে এবং হাতে আঁচড়ের দাগ মিলেছে।
শুধু তা-ই নয়, আয়াজের এক তুতো ভাই মহম্মদ সালাউদ্দিনের দাবি, ১৬৮, তিলজলা রোডের কারখানায় বৃহস্পতিবার রাতে চার জন ছিলেন। আয়াজের মৃত্যুর পর থেকে তাঁদের দু’জন পলাতক। এক জনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, কারও পালিয়ে যাওয়ার খবর তাদের কাছে নেই। তবে যে যুবক আয়াজের সঙ্গে রাতে ওই কারখানায় ঘুমোচ্ছিলেন, তাঁর বয়ান নেওয়া হয়েছে। ওই যুবক বয়ানে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে আয়াজ মদ খেয়ে এসেছিলেন। তিনি চামড়া বোঝাই স্তূপের পাশে শুয়েছিলেন। ভোরে দেখা যায়, আয়াজের উপরে সেই চামড়ার স্তূপ পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, আয়াজের একটি পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। সে তার মায়ের সঙ্গে দিদিমার বাড়িতে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy