মশা তাড়ানোর ধোঁয়া-যন্ত্রে গোলযোগের কারণে আহত হয়েছিলেন দুই পুরকর্মী। এর জেরে আপাতত প্রতিটি ওয়ার্ডে ওই যন্ত্রের ব্যবহার স্থগিত রাখল বিধাননগর পুরসভা। শো-কজ করা হয়েছে ওই যন্ত্র প্রদানকারী সংস্থাকে। সাত দিনের মধ্যে ওই সংস্থার থেকে বিপত্তির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
নতুন কেনা ওই ধোঁয়া-যন্ত্র নিয়ে মঙ্গলবার বিধাননগর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে যান পুরকর্মীরা। ধোঁয়া দেওয়ার সময়েই আচমকা মেশিন থেকে আগুনের হল্কা বেরিয়ে দুই পুরকর্মীর হাত, মুখ ও চুলের একাংশ পুড়ে যায়। বুধবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘আপাতত ওই যন্ত্র চালানো হবে না। ফের সেগুলির পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞেরা। তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। যন্ত্র প্রদানকারী সংস্থাকে শো-কজ করে চিঠি পাঠিয়েছি।’’ পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অনিন্দ্যবাবু বলেন, ‘‘রিপোর্ট পাঠিয়েছি। বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’
এই ঘটনায় পুরকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুরপ্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, যন্ত্র পুনরায় পরীক্ষা না করে কাজে লাগানো হবে না। তবে পুরসভার অন্দরেই যন্ত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাংশের অভিযোগ, টেন্ডার ছাড়া বরাত দেওয়া হল কেন? যদিও প্রণয়বাবুর দাবি, ‘‘রাজ্যের পুর-দফতরের সুপারিশ অনুযায়ী ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। তাই টেন্ডারের দরকার হয়নি। পুর-দফতরকে যাবতীয় ঘটনা জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy