তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়ের নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রাখা নিয়ে শনিবার যখন হুলস্থুল চলছে, তখনই অভিযোগ উঠল জমি আন্দোলন পর্বে নন্দীগ্রামের নির্যাতিতারা ভাল নেই।
এ দিন নারী নির্যাতন ও রাষ্ট্রীয় দমন নীতির বিরোধী মহিলাদের একটি সংগঠন কলকাতায় ওই নির্যাতিতাদের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরে। সংগঠনের তরফে অনুরাধা তলোয়ার দাবি করেন, জমি আন্দোলন পর্বে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল যাদের বিরুদ্ধে, তাদের একাংশকে ফের এলাকায় দেখা যাচ্ছে। তাই নির্যাতিতারা আতঙ্কিত। নির্যাতনে অভিযুক্তরা ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’ নেতাদের মোটা টাকা দিয়ে এলাকায় ফিরছেন বলেও অভিযোগ অনুরাধার। যদিও তা উড়িয়ে নন্দীগ্রামের ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলে, “টাকা নিয়ে অভিযুক্ত কাউকে এলাকায় ফেরানোর কথা একেবারে মিথ্যা। এ সব নন্দীগ্রামের আন্দোলনে কালি লাগানোর চেষ্টা।”
সংগঠনের দাবি, নির্যাতিতা মহিলারা কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন, তা দেখতে তাদের একটি প্রতিনিধি দল গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে যোগ দেওয়া ১৬ জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানিয়ে এ দিন সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, ওই নির্যাতিতাদের মধ্যে মাত্র তিন জন ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সংগঠনের তরফে নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, “ওই মহিলারা সর্বস্ব খুইয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন। অথচ তাঁদের কেউ কেউ খুবই অসুস্থ। টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছেন না।” নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, ধর্ষকদের শাস্তি, নির্যাতিতাদের কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নমূলক কাজের দাবিতে সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানানো হবে বলেও শাশ্বতীরা জানিয়েছেন।