পুলিশকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। সম্প্রতি পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার তেমনই দু’টি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু’টি ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) দেখে বন্দর এলাকার এক পুলিশ কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল লালবাজার। কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি পশ্চিম বন্দর থানায় কর্মরত ছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি রিভার ট্র্যাফিক পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
এক পুলিশকর্তা জানান, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োয় পুলিশকর্মীদের টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলার পরেই ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী দিনে এমন ঘটনা নজরে এলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগে হাওড়া সেতুতেও গাড়ি থামিয়ে টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সে ক্ষেত্রেও অভিযুক্ত এক এএসআই এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার ভিডিয়ো দু’টির একটি গত ১৪ জুন তোলা। অভিযোগ, তাতে দেখা গিয়েছে, টহলরত পুলিশ গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করছে। অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গত বুধবার সাসপেন্ড করা হয়। ১৩ জুনের অন্য ভিডিয়োয় দেখা যায়, নাকা তল্লাশির সময়ে টাকা নিচ্ছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লালবাজার ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও প্রশ্ন উঠেছে, নাকা তল্লাশি করার কথা সিসি ক্যামেরার আওতাধীন এলাকায়। কিন্তু তা হচ্ছে কোথায়? এর সঙ্গেই অভিযোগ, পুলিশকর্তাদের নজরদারিতেও ঘাটতি থাকছে। আর তার জেরেই বিনা বাধায়, বিনা সঙ্কোচে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করছেন পুলিকর্মীদের একটি অংশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)