Advertisement
১৮ মে ২০২৪

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত মানিকতলা, গ্রেফতার দুই

পুলিশের দাবি, এটা কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। মদ খাওয়া নিয়ে স্থানীয় দুই দলের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। এই ঘটনায় প্রশান্ত হাজরা নামে এক ব্যক্তি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ০০:৪৮
Share: Save:

কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার ছিল সোমবার সকালে। কিন্তু সেই প্রচারে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের সমর্থকেরা অগ্রণী ভূমিকা নেবেন, না কি স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডের লোকজন থাকবেন, তা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মানিকতলা থানা এলাকার হরিশ নিয়োগী রোড। যদিও পুলিশের দাবি, এটা কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। মদ খাওয়া নিয়ে স্থানীয় দুই দলের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। এই ঘটনায় প্রশান্ত হাজরা নামে এক ব্যক্তি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

মানিকতলা থানার পুলিশ যা-ই দাবি করুক, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পুরোটাই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমাল। দুই পক্ষের ওই সংঘর্ষে মহিলাদের শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রেয়াত করা হয়নি প্রবীণদেরও।

স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর সমর্থকদের দাবি, রবিবার বিকেলে তাঁরা মোটরবাইক নিয়ে এলাকায় প্রচার সেরে অমলবাবুর দলীয় অফিসে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। অনেকে অফিসের ভিতরে ছিলেন, বাকিরা ছিলেন রাস্তায়। অভিযোগ, সেই সময়ে সাধন পাণ্ডের অনুগামী প্রশান্ত হাজরার লোকজন আর একটি মোটরবাইক মিছিল নিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই যেতে চান। কিন্তু তখন ওই রাস্তায় প্রচুর মোটরবাইক আর লোকজন থাকায় সেই মিছিলকে অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে বললে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরেই প্রশান্তের লোকজন জোর করে অমলবাবুর কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। ভেঙে ফেলা হয় চেয়ার-টেবিল। এমনকি, সোমবার সকালের প্রচারের জন্য আনা প্রচুর ফুলের মালাও তাঁরা ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয় বেশ কিছু মোটরবাইক এবং একটি গাড়িও। কাউন্সিলরের সমর্থকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে মানিকতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ফের রাতে নতুন করে গোলমাল শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে অমল চক্রবর্তীর লোকজন লাঠি, রড নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এলাকার দখল নিতে। এ বিষয়ে সোমবার অমলবাবুকে ফোন করা হলে এক মহিলা ফোন ধরে জানান, সকালে প্রচারে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। কথা বলতে পারবেন না। তবে সাধনবাবুর বক্তব্য, রবিবার রাতে তেমন কিছুই ঘটেনি। সামান্য যা ঘটেছিল, সব মিটে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Violence TMC Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE