Advertisement
E-Paper

উড়ালপুল সারাই এখনও বিশ বাঁও জলে

ভেঙে পড়ার চার মাস পরেও নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত বিশ বাঁও জলে। অর্ধেক তৈরি ওই উড়ালপুলের বাকি অংশ থাকবে, না কি ভেঙে ফেলা হবে, তা নিয়ে সবিস্তার কোনও রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকারের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। উড়ালপুলের ভবিষ্যত ঠিক না হওয়ায় অন্ধকারে ওই অংশের রাস্তার স্বাভাবিক যান চলাচল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৬ ০১:২৩

ভেঙে পড়ার চার মাস পরেও নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত বিশ বাঁও জলে। অর্ধেক তৈরি ওই উড়ালপুলের বাকি অংশ থাকবে, না কি ভেঙে ফেলা হবে, তা নিয়ে সবিস্তার কোনও রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকারের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। উড়ালপুলের ভবিষ্যত ঠিক না হওয়ায় অন্ধকারে ওই অংশের রাস্তার স্বাভাবিক যান চলাচল।

নবান্ন সূত্রের খবর, ওই উড়ালপুলের ভবিষ্যত কী, তা নিয়ে আগমী বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিব ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বসবেন। ‘‘সে দিনই ঠিক হবে ওই উড়ালপুলের ভবিষ্যত,’’ মন্তব্য এক সরকারি কর্তার।

অন্য দিকে কমিটি তাঁদের রিপোর্ট জমা দিলেই যাতে উড়ালপুলের নীচের অংশে যান চলাচল করতে পারে, তার জন্য এলাকায় থাকা লোহালক্কর-সহ বিভিন্ন সামগ্রী সরিয়ে এলাকাবাসীদের গাড়ির যাতায়তের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। বিবেকানন্দ রোড দিয়ে চালু হয়েছে একটি রুটের অটো চলাচলও। তবে বাকি অংশের যান চলাচাল অন্ধকারেই বলে দাবি পুলিশের।

৩১ মার্চ দুপুরে গণেশ টকিজের সামনে ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ উড়াপুলের একটি অংশ। নির্মীয়মাণ ওই উড়ালপুল কেন ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখার জন্য ঘটনার তিন দিন পরেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে আট সদস্যের কমিটি তৈরি হয়। যাতে রয়েছেন আইআইটি খড়গপুরের তিন বিশেষজ্ঞ ইজ্ঞিনিয়ার ছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং সিআইডি-র ডিজিও পূর্ত দফতরের সচিব এবং চিফ ইজ্ঞিনিয়ার। এ ছাড়াও রেলের পরর্মাশদাতা সংস্থা রাইটসের কাছে ওই উড়ালপুল নিয়ে পরমার্শ চেয়েছে কেএমডিএ। রাইটসের তরফে কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি বলে কেএমডিএ-র দাবি।

পুলিশ জানিয়েছে, ভেঙে পড়ার কারণ জানতে তারা রাইটসকে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু রাইটস এখনও রিপোর্ট জমা দেয়নি। যার ফলে উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনায় চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি তদন্তকারীদের।

নবান্ন সূত্রের খবর, ঘটনার এক মাসের মধ্যেই উড়ালপুল ভেঙে পড়া নিয়ে আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমস্ত নকশা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। সেই টেকনিক্যাল রিপোর্টে উড়ালপুলের নকশায় ত্রুটি এবং নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে নির্মাণে নজরদারির অভাব ছিল বলেও দাবি করা হলে উড়ালপুলের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া পোস্তার মালা পাড়া থেকে গিরিশ পার্কের মধ্যে বিবেকানন্দ রোডের যান চলাচল। রবীন্দ্র সরণি দিয়ে গাড়ি চালাচল করলেও নিরাপত্তার স্বার্থে ভারী গাড়ির উপরে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করে পুলিশ। বুধবার গটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মালাপাড়ার পর থেকে রাস্তার দু’পাশে উড়ালপুলের নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের গাড়ি যাতায়তের রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র সরণি এবং বিবেকানন্দ রোডের সংযোগস্থলে রাস্তা গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করা থাকলেও কয়েক মিটার দূর থেকে ফুলবাগান-গিরিশ পার্ক রুটের অটো চলাচলের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

লালবাজার জানিয়েছে, উড়ালপুলের বাকি অংশ কী হবে, তা স্পষ্ট না হলেও সন্তর্পণে কিছু অংশে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও ভারী গাড়ি ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে এলাকাবাসী

Vivekanda flyover Bridge Construction
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy