Advertisement
E-Paper

ঐত্রী-মৃত্যুতে ‘ডিগ্রি’ ধন্দ

১৭ জানুয়ারি ওই হাসপাতালে ভুল ইঞ্জেকশনেই ঐত্রীর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ তার পরিবারের। আর যিনি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, সেই স্মূর্তি প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনী ওড়িশার উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি নার্সিং বলে হলফনামা দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫২

মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে ঐত্রী দে’র মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নার্সের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল।

১৭ জানুয়ারি ওই হাসপাতালে ভুল ইঞ্জেকশনেই ঐত্রীর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ তার পরিবারের। আর যিনি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, সেই স্মূর্তি প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনী ওড়িশার উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি নার্সিং বলে হলফনামা দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের শুনানিতে নার্স জানিয়েছেন, ‘ফাইনাল ডিগ্রি’ এখনও পাননি। আগামী বুধবার ফের শুনানি হওয়ার কথা। সেইসময়ে স্মূর্তিকে হলফনামা এবং নার্সিংয়ের পড়াশুনো সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়ের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এদিন সকলের প্রশ্নের সামনে কিছুটা ঘাবড়ে যান নার্স। কলেজ থেকে পাশ করার যে নথি দিয়েছে, তা জমা দিয়েছি। তবে এটাও ঠিক যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইনাল ডিগ্রি আসেনি। পেলে জমা দিয়ে দেব।’’

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওড়িশার বাসিন্দা স্মূর্তি ট্রেনিংয়ে ছিলেন। এসময় অভিজ্ঞ নার্সের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হয়। ডিগ্রি এলে স্টাফ করা হয় সংশ্লিষ্ট নার্সকে। সেকারণে প্রশ্ন উঠেছে, আড়াই বছরের ঐত্রী যেমন অসুস্থ ছিল, তাকে কি ট্রেনিংয়ে থাকা নার্সের হাতে ছাড়া ঠিক হয়েছে? যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিজ্ঞ নার্সের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন স্মূর্তি।

এদিন শুনানি শেষে ঐত্রীর মা শম্পা বলেন, ‘‘চানাচুর-মুড়ি বিক্রি করার মতো লোক ধরে এনেছেন আমরি কর্তৃপক্ষ। নার্স বলছেন, এখনও পাশ করেননি। আর হাসপাতাল সেই নার্সের পাশ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে দিল!’’ শুনানি শেষে স্মূর্তি অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।

পাশাপাশি, শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে রাখা না হলেও বিলে সেই টাকা যোগ করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন শুনানি চলাকালীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ফেরত দিতে চেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ঐত্রীর বাবা জয়ন্ত। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও টাকা নেব না।’’ অর্ণববাবুর বক্তব্য, ‘‘ঐত্রী দে’র জন্য ভেন্টিলেশন তৈরি রাখা হয়েছিল। বিলের মধ্যে সেই টাকা ধরা হয়েছিল। কমিশন বলেছে, ভেন্টিলেশন ব্যবহার করা হয়নি, ফলে টাকা ফেরত দিতে হবে। কমিশন চাইলে আমরা দিয়ে দেব।’’

Oyetri Dey Oyetri Dey Death Case AMRI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy