কলকাতার ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ডেও বিপুল পরিমাণে আবর্জনা জমে রয়েছে, যার নীচে ভূগর্ভে বিপজ্জনক মাত্রায় মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে। এই থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা পুরসভার। কী ভাবে সেই বিপর্যয় মোকাবিলা করা যায়, তার পথ খুঁজছিল কলকাতা পুরসভা। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানান, অগ্নিকাণ্ড এড়াতে পুরসভা ‘স্প্রিংলারের’ মাধ্যমে নিয়মিত ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জল ছিটোচ্ছে! সাহায্য নেওয়া হচ্ছে দমকলেরও।
হাওড়ার বেলগাছিয়ায় আবর্জনার স্তূপে বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুরসভা। কারণ, এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রতি দিন নানা জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা এসে জমা হচ্ছে। ফলে ভূগর্ভে মিথেন গ্যাসের মাত্রাও বাড়তে থাকছে। যদি সেই গ্যাস বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়, তবে তা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। দেবব্রত জানান, ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে কোনও বৈজ্ঞানিক ল্যান্ডফিল নেই। ফলে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে সেখানে নিয়মিত জয় ছিটানো হচ্ছে। দমকলের সাহায্যে জল দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মেয়র পারিষদ।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত বলেন, ‘‘কলকাতার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অবস্থা হাওড়ার মতো ভয়াবহ নয়। তবে আমরা সর্বদা চেষ্টা করি যাতে মিথেন গ্যাস থেকে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এই গ্যাস অত্যন্ত দাহ্য।”
ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের মাটি কি নিয়মিত পরিণত করা হয়? দেবব্রত জানান, নিয়মিত মাটি পরীক্ষা না করা হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। মাটির গুণমান এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান শনাক্ত করতেই পরীক্ষা করা হয়। যদি অস্বাভাবিক কিছু নজরে আসে, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপও করা হয় বলে জানান দেবব্রত।
দেবব্রত আরও জানান, বর্জ্য সংগ্রহের জন্য পুরসভা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোনও টাকা নেয় না। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকেই কর সংগ্রহ করা হয়। তবে ধাপার পরিস্থিতিতে মেয়র পারিষদের বক্তব্যে স্বস্তি মিললেও, পুরসভার তরফে আরও কার্যকরি এবং স্থায়ী সমাধান চায় শহরবাসী।