Advertisement
E-Paper

ভরা খাল নামতে দিচ্ছে না জমা জল

এক দিকে একনাগাড়ে বৃষ্টি, অন্য দিকে গঙ্গায় জোয়ার। বেলার দিকে জোয়ারের জল ঢুকে পড়ে টালিনালায়। ফলে জমা জল বেরোনো তো দূর, টালিনালা উপচে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায়। রাত পর্যন্ত জল ছিল ভবানীপুর এবং কসবার বিভিন্ন এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০১:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শহরের জমা জল বার করতে একনাগাড়ে পাম্প চালিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু যে খালে ওই জল ফেলা হবে, সেটাই টইটম্বুর। ফলে বৃষ্টির জল জমে রয়েছে যথাস্থানে। এর পরে আরও বৃষ্টি হলে সমস্যা যে বাড়বে, সেই আশঙ্কা করছেন পুর কর্তৃপক্ষই।

আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৪.২ মিলিমিটার। পুরসভা জানিয়েছে, এর জেরে দক্ষিণ কলকাতা বিশেষত বেহালা, যাদবপুর, নিউ আলিপুরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ জানান, রবিবার দিনভর শহরের ৭৩টি পাম্পিং স্টেশন থেকে ৪৫০টিরও বেশি পাম্প চালানো হয়েছে। ওই সব এলাকার জমা জল মূলত ফেলা হয় মণি খাল, বেগড় খাল এবং শম্পা মির্জানগর খালে। কিন্তু, টানা বৃষ্টিতে ওই সব খালও উপচে উঠেছে। তবে তারকবাবু বলেন, ‘‘বৃষ্টি থেমে গেলে অসুবিধা হবে না। কিন্তু চলতে থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে।’’ কারণ, তখন দক্ষিণ কলকাতার ওই সব অংশের জমা জল বার করার জায়গা পাওয়া যাবে না।

এক দিকে একনাগাড়ে বৃষ্টি, অন্য দিকে গঙ্গায় জোয়ার। বেলার দিকে জোয়ারের জল ঢুকে পড়ে টালিনালায়। ফলে জমা জল বেরোনো তো দূর, টালিনালা উপচে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায়। রাত পর্যন্ত জল ছিল ভবানীপুর এবং কসবার বিভিন্ন এলাকায়।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২৪ থেকে ১২৯ এব‌ং ১৩৫ থেকে ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় এ দিন জল জমে। যদিও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উত্তর কলকাতায় তেমন জল জমেনি। বেহালা অঞ্চলে কোথাও কোথাও জমলেও তা তেমন কিছু নয়। পুরসভা পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

Rain Water Logged বৃষ্টি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy