বিনিয়োগের ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার প্রতারণার অভিযোগে অসম থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের এক সংস্থার নাম ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাপ চালু করেছিলেন প্রতারকেরা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা প্রতারকেরা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। এই মামলায় আগেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমে হানা দিয়ে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিআইডি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমে লগ্নির টোপ দিতেন প্রতারকেরা। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন বারাসতের বাসিন্দা জনৈক রাজকুমার ভট্টাচার্য। পেশায় চিকিৎসক রাজকুমার ওই ফাঁদে পা দেওয়ার পরে তাঁকে একটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেন প্রতারকেরা। চিকিৎসককে বলা হয়, ওই গ্রুপে অনলাইনে বিনিয়োগের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সুযোগে ভুল বুঝিয়ে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দফায় দফায় রাজকুমারকে দিয়ে বিনিয়োগ করানো হয়। অভিযোগ, দশ দফায় তাঁর থেকে মোট ৩৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারকেরা।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক ভাবে বারাসত সাইবার অপরাধ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। ওই ঘটনার তদন্তে আগেই চার জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। চলতি বছরের মার্চে গ্রেফতার হন দেবাশিস রায়। জুনে আলিপুর থেকে গ্রেফতার হন প্রসেনজিৎ রঞ্জন নাথ। জুলাইয়ে পাকড়াও করা হয় আরও দু’জনকে। গার্ডেনরিচ থেকে গ্রেফতার হন অমিত ঘোষ এবং রিয়াজ় আহমেদ। ধৃত অমিত পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। ধৃত ওই চার জনকে জেরা করে ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
সেই সূত্র ধরেই অসমে হানা দেয় সিআইডির একটি দল। অসমের দিসপুর থেকে বুধবার গ্রেফতার করা হয় জহিরুল ইসলামকে। ধৃতের বাড়ি কামরূপ জেলায়। তাঁকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে রাজ্যে নিয়ে আসার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।