—ফাইল চিত্র।
দুর্ভোগ তাড়া করে বেড়াচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। আগে থেকে জানা সত্ত্বেও প্রতিটি লকডাউনের দিনই কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। কখনও নিজেদের ভুলে, কখনও উড়ান সংস্থার গাফিলতিতে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু ঘুরে কোচি যাওয়ার কথা ছিল মুর্শিদাবাদের কওসর শেখদের। ১৬ জন একসঙ্গে ঢোকেন বিমানবন্দরে। বোর্ডিং পাস নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢোকার মুখে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে সাত জনের কাছে শুধু বেঙ্গালুরু থেকে কোচি যাওয়ার বোর্ডিং পাস রয়েছে। কলকাতা-বেঙ্গালুরুর পাস নেই।
তাঁদের আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বাকি ন’জন ঢুকে যান। বাকিরা ফিরে এসে আবার নতুন করে বোর্ডিং পাস নিতে নিতে সময় পেরিয়ে যায়। কওসর শেখরা তখন থেকে বসে রয়েছেন বিমানবন্দরের বাইরে। শনিবার যাওয়ার উপায় নেই। সব উড়ান বন্ধ। কওসরের কথায়, “কোম্পানি নতুন করে টিকিট কেটে পাঠাবে বলেছে। তত ক্ষণ এখানে অপেক্ষা করতে হবে।”
শুক্রবার মাঝরাতে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মালদহের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা বিপ্লব সরকার। বিপ্লবের কথায়, “ঠিক কোন কোন দিন লকডাউন, সেটা জানতাম না।” শনিবার ভোরে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, সব শুনশান। রবিবার ভোরের বাসের অপেক্ষায় রয়ে গিয়েছেন বিমানবন্দরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy