এসএসকেএমের আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলবাহিনী। ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দোতলার সিটি স্ক্যান ও ইউএসজি রুমে আগুন লেগেছিল এসি মেশিন থেকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার নবান্নে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ কথা জানান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
যা শুনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “শীতে এসি কেন?” ফিরহাদ জানান, হাসপাতালের সিটি স্ক্যানের ঘরের এসি থেকেই আগুন লেগেছিল। তখন চারটি এসি চলছিল। হাসপাতালগুলিতে এসি-র অপব্যবহার বন্ধের আর্জি জানান পুরমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শীতকালে আমরাও এসি বন্ধ রাখি। এই সময়ে সর্বত্র এসি-র তো প্রয়োজন নেই।”
তবে আইসিইউ, সিসিইউ, পরীক্ষাগারে সর্বদা এসি-র প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দেন, প্রতিটি হাসপাতালে এসি-র রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো করতে হবে। সেগুলির কার্যক্ষমতা কত দিন পর্যন্ত রয়েছে, সেই তথ্যভান্ডার তৈরির কথা বলেন তিনি। মমতা বলেন, “হাসপাতালের এসি-সহ অন্যান্য জিনিস রক্ষণাবেক্ষণের তারিখ ও মেয়াদ কত দিন, সেই তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে।” পিজির অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন এসি থেকে আগুন লাগল, তা তিনি খুঁজে বার করতে বলেছেন।
এ দিন পিজির অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুখ্যমন্ত্রী স্পোর্টস মেডিসিন পরিষেবার বিষয়ে জানতে চান। অধিকর্তা তাঁকে জানান, পরিকাঠামো তৈরি। যন্ত্রপাতি এলেই পরিষেবা চালু হবে। তাতে কেন দেরি হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসচিব জানান, যন্ত্রপাতির জন্য আট কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সেই টাকা আসবে।
পিজির মতোই অন্য হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের জন্য ঘোষণা-ব্যবস্থা চালুর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পিজিতে চোখের চিকিৎসা নিয়ে তিনি জানতে চাইল মণিময় জানান, রেটিনার চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পে বাচ্চাদের হার্টের অস্ত্রোপচারে এসএসকেএম ও এন আর এসে পরিকাঠামোর উন্নতির নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy