খুবই ছোট মাপের একটি ঘর। খাটের আশপাশ দিয়ে ঠিক মতো চলাফেরাও জায়গা নেই। এমনই একটি ঘর ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া করে মাঝে মাঝেই অর্চনা পালংদারের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন প্রেমিক বলরাম কেশরী।
এ বারও এসএন ব্যানার্জি রোডের ওই হোটেলে উঠেছিলেন দু’জনে। সে দিন এমনকি ঘটনা ঘটল, যে ঘরের মধ্যে তাঁদের দেহ উদ্ধার (ধৃত হোটেল কর্মী আশিস যাদবের বয়ান অনুযায়ী) হল? তার পর ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ওই ঘরের দরজা খুলে অর্চনার এবং বলরামের দেহ কম্বলে মুড়ে নাইলনের দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে খালে ফেলে দিলেন হোটেল কর্মীরা? পুলিশকে কেন জানালেন না? হোটেল কর্মীরা কী করে বুঝলেন, ঘরের মধ্যে দু’জনের দেহ রয়েছে?
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা আশিস যাদব ছাড়া আরও দুই কর্মী জড়িত রয়েছেন দেহ লোপাটের ঘটনায়। তাঁরা এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।