নিহত রামুয়া। —ফাইল চিত্র
হাওড়ায় বুধবার রামুয়ার প্রতিপক্ষ দলের লোক বলে পরিচিত জুজুয়াকে খুনের পরে রহস্যের জট আরও জটিল হল বলেই মনে করছেন পুলিশের একাংশ। সোদপুরে রামুয়াকে খুনের সঙ্গে হাওড়ার এই খুনের সরাসরি কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্য দিকে, রামুয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পরেও তার স্ত্রী ও ছেলে কেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন, তদন্তে নেমে তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রবিবার গভীর রাতে মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যাওয়া রামুয়াকে তার স্ত্রী, ছেলে ও শ্বশুর যখন তিনতলা থেকে একতলায় নামাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের দেখতে পেয়েছিলেন এক প্রতিবেশী। তিনি সাহায্য করতে এগিয়েও এসেছিলেন। কিন্তু কাজল তাঁকে জানান, ঘরে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছে রামুয়া। তাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাউকে যেতে হবে না। তাঁরাই সব সামলে নেবেন।
ওই প্রতিবেশী কে, সেটাই এখন খুঁজছেন তদন্তকারীরা। কারণ, তাঁর নাম বা ঠিক কোন জায়গায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, কিছুই ঠিক মতো জানাতে পারেননি কাজল। পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়েও সমীর ও কাজল জানিয়েছিলেন, শৌচাগারে পড়ে গিয়ে কলে আঘাত লেগে মাথা ফেটে গিয়েছে রামুয়ার।
রামুয়া গুলিবিদ্ধ হলেও মা-ছেলে মিলে এমন মিথ্যা গল্প কেন ফাঁদলেন, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকর্তাদের। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে রামুয়ার স্ত্রী ও ছেলে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁরা ঘটনার পরে ভয় পেয়ে সবাইকে মিথ্যা বলেছিলেন। সেটা ভুল হয়েছিল। সেই কারণে পুলিশকেও তাঁরা কিছু জানাতে চাননি বলে দাবি মা ও ছেলের। কাজল ও সমীরের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তা হলে পুলিশকে ভাবাচ্ছে অন্য একটি দিক। তা হল, রবিবার রাতে এমন কার আসার কথা ছিল, যাকে রামুয়ার মতো দুষ্কৃতী সরাসরি উপরে আসতে বলবে। শুধু কি ওই দিন, না তার আগেও গভীর রাতে রামুয়ার পরিচিতেরা ওই ফ্ল্যাটে এসেছিল? রামুয়ার পরিবার স্পষ্ট করে কিছু জানাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy