আলোকিত: বড়দিনের জন্য প্রস্তুত পার্ক স্ট্রিট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
‘শীতের হাওয়া’ এ বার গায়ে লাগবে তাঁদেরও। সাধারণ নাগরিকেরা শীতে খেলা-মেলা-যাত্রার আনন্দ উপভোগ করলেও একটি-দু’টি উপলক্ষ ছাড়া সেই আনন্দের ছোঁয়া গায়ে লাগত না বন্দিদের। তাই তাঁদের জন্য ‘উইন্টার কার্নিভাল’-এর ব্যবস্থা করেছে কারা দফতর। আগামী ২২-২৩ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ওই কার্নিভাল হওয়ার কথা।
রাজ্যের আট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের অনেকগুলিতেই উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সরষের তেল, কেক, বিস্কুট, পোশাক, নিত্য প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রী তৈরি করেন বন্দিরা। কখনও সেই সামগ্রীর প্রদর্শনী বা বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সংশোধনাগারের চৌহদ্দির মধ্যে ওই সব জিনিস বিক্রির ব্যবস্থা সে ভাবে হয় না। এই ‘উইন্টার কার্নিভাল’-এ সেই ব্যবস্থাই করেছে কারা দফতর। সংশোধনাগারের আবাসিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, তাদের স্টলও থাকবে কার্নিভালে। রাজ্যে বালুরঘাট, বর্ধমান বাদে দমদম, আলিপুর, প্রেসিডেন্সি, বহরমপুর, মেদিনীপুর এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে উৎপাদন কেন্দ্র বেশ সক্রিয়।
আগামী ২২ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল ১১টায় এই কার্নিভালের উদ্বোধন করার কথা কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের। স্টলগুলিও খোলা থাকবে তখন থেকেই। কার্নিভালে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাতে অংশ নেবেন সংশোধনাগারের আবাসিকরা। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কারা দফতরের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। অনুষ্ঠান দু’দিনই বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মূল ফটক সংলগ্ন জায়গায় এই কার্নিভালের জন্য ইতিমধ্যেই চলছে ম্যারাপ বাঁধার কাজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থালি গার্ল বা থালি বয় হিসাবে থাকার কথা বন্দিদেরই। সঙ্গে থাকবেন কারা দফতরের কর্মীরাও। সংশোধনাগারের বন্দিদের তত্ত্বাবধানে চলা ক্যান্টিনের একটি অংশও কার্নিভালের অঙ্গ হতে চলেছে। সেখানে একেবারে কম মূল্যে নানা খাবার চাখতে পারবেন কার্নিভালে আসা বন্দি, কারা কর্মী থেকে আমজনতা সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy