E-Paper

বিয়ের ওয়েবসাইটে পরিচয়, মহিলার ‘প্রতারণায়’ ২০ লক্ষ টাকা গায়েব

কোনও অনলাইন মাধ্যমে বিনিয়োগ করার আগে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার জন্য পুলিশের তরফে বার বার সচেতন করা হয়। তা সত্ত্বেও এ ভাবে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে, বহু মানুষই এখনও সতর্ক হননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৯

—প্রতীকী চিত্র।

বিয়ের জন্য যোগাযোগ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় মধ্যবয়সি এক ব্যক্তির। অভিযোগ, সেই মহিলার দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন তিনি। সিঁথি থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যক্তির থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে সিঁথি থানার পুলিশ।

এমন ঘটনা নতুন নয়। কোনও অনলাইন মাধ্যমে বিনিয়োগ করার আগে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার জন্য পুলিশের তরফে বার বার সচেতন করা হয়। তা সত্ত্বেও এ ভাবে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে, বহু মানুষই এখনও সতর্ক হননি। ওই ব্যক্তিকে দিয়ে অভিযুক্ত মহিলা প্রথমে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করানোর পরে ধীরে ধীরে সেই অঙ্ক ২০ লক্ষে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারী জানিয়েছেন, বিনিয়োগ করা টাকা তোলার চেষ্টা করতেই ওই সাইট থেকে তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যে মহিলার প্ররোচনায় তিনি বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছিলেন, তিনিও ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ওই ব্যক্তি যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি তাঁর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় বার বিয়ের তোড়জোড় করছিলেন। তাঁর একটি দশ বছরের মেয়ে রয়েছে। বিয়ের যোগসূত্র তৈরির একটি ওয়েবসাইটে তিনি নাম নথিভুক্ত করান। সেখান থেকেই এক মহিলা নিজেকে একটি শেয়ার সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিয়েতে রাজি হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।

তদন্তকারীরা জানান, মহিলা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে থাকেন। এমনকি, ওই ব্যক্তির মেয়ের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও জানান। দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়তেই মহিলা ওই ব্যক্তিকেব্যবসা সংক্রান্ত সাইটে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। দু’জনের মধ্যে ওয়টস্যাপ কলে কথা হত। মহিলা ওই ব্যক্তিকে জানিয়েছিলেন, নভেম্বরে তাঁর বাবা-মা কলকাতায় আসবেন, পুলিশের কাছে এমনই জানিয়েছেন অভিযোগকারী।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিশ্বাসের খেসারত দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। মহিলার পরামর্শ মেনে অভিযোগকারী গত জুলাইয়ে প্রথমে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তার পরে ধীরে ধীরে বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকায় পৌঁছয়। অভিযোগ, এর পরে এক দিন ওই ব্যক্তি টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, বিনিয়োগ করার সাইটটি থেকে তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। আর ওই মহিলার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Fraud police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy