মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
২০১৭ সাল পর্যন্ত বিধবা ভাতা পেয়েছেন মা। এর পর থেকে তা পাচ্ছেন না। বুধবার মায়ের সেই আবেদন মেয়রের কানে তুলে দিলেন উত্তর কলকাতার ন’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গীতা পালের ছেলে গোপাল। তা শুনেই পাশে থাকা সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসারকে মেয়রের নির্দেশ, ‘‘অবিলম্বে বিষয়টি দেখুন।’’
১ জুলাই থেকে কলকাতা পুর ভবনে শহরের বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে শুরু হয়েছে ‘টক টু মেয়র’। প্রতি বুধবার বিকেল চারটে থেকে ৫টা পর্যন্ত নাগরিকেরা সরাসরি পুরসভার দেওয়া বিশেষ টেলিফোন নম্বর ১৮০০৩৪৫১২১৩-এ ফোন করলেই কথা বলতে পারবেন মেয়রের সঙ্গে। পুরসভা সূত্রের খবর, তিন দিনই ওই অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাতে ৭১টি সমস্যার কথা জানানো হয়েছে মেয়রকে। এ দিন তিনি জানান, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দু’দিনে মোট ৪৪টি সমস্যার মধ্যে ৪০টিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলির কয়েকটিতে আইনি জটিলতা থাকায় দেরি হচ্ছে। সে কথা জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের।
ওই অনুষ্ঠানে পুরসভার সব দফতরের আধিকারিকদের নিয়েই নাগরিক সমস্যা শুনছেন মেয়র। সেখানে বসেই দফতরের কর্তারা তা লিপিবদ্ধ করে কাজ শুরু করছেন। ১০ জুলাই ২৭টি সমস্যার মধ্যে পাঁচটির সমাধান ইতিমধ্যেই হয়েছে। বাকিগুলির কাজ চলছে বলে জানান পুরসভার এক আমলা।
এ দিন বিধবা ভাতা না পাওয়ার প্রসঙ্গে আসতেই সংশ্লিষ্ট অফিসার খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। সন্ধ্যায় মেয়রকে তিনি জানান, আজ, বৃহস্পতিবার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ট্যাংরা সংলগ্ন ডি সি দে রোডের এক প্রবীণ মেয়রের কাছে আব্দার করেন, তাঁদের এলাকায় বয়স্কদের জন্য বসার জায়গা করে তা আলো দিয়ে সাজিয়ে দিলে ভাল হয়। পার্ক এবং আলো দফতরকে দ্রুত তা করার নির্দেশ দেন মেয়র। প্রশ্ন আসে, ৮০ ও ৮১ নম্বর বেন্টিক স্ট্রিটের একটি বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে। শীঘ্রই তা দেখার নির্দেশ দিয়ে মেয়র বললেন, ‘‘মুম্বইয়ে যে ভাবে বাড়ি ভেঙে ভয়াবহ ঘটনা হল, তা দেখে ভয় হয়। সতর্ক হতে হবে আমাদেরও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy