ভর সন্ধ্যায় শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ফের ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল।
অভিযোগ, রবিবার ফুলবাগান এলাকার মানিকতলা মেন রোডে মানিকতলা আন্ডারপাসের কাছে অস্ত্র দেখিয়ে এক মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগকারিণীর কথায় কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযোগকারিণীর নাম শেফালি দত্ত। বাড়ি ফুলবাগানের গুরুদাস দত্ত রোডে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই সন্ধ্যায় মানিকতলা মেন রোড ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ছেলে ও পুত্রবধূ। শেফালিদেবীর বক্তব্য, মানিকতলা আন্ডারপাসের কাছে তাঁরা দেখতে পান দুই যুবক একটি মোটরবাইক নিয়ে রাস্তার অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
শেফালিদেবীর অভিযোগ, মোটরসাইকেলের পিছনে বসা যুবক হঠাৎই রাস্তা পেরিয়ে তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ায়। তাঁরা কিছু বোঝার আগেই একটি ধাতব বস্তু দেখিয়ে তাঁর হার টেনে ছিঁড়ে নিয়ে পালায় যুবক বলে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন ওই মহিলা। কিন্তু পরে মৌখিক ভাবে তিনি জানান, ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়েছিল। অভিযোগকারিণীর দাবি, হেলমেট পরা থাকায় ওই যুবকের মুখ দেখা যাচ্ছিল না। তাঁরা চিৎকার করতেই রাস্তা পেরিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে মানিকতলার দিকে চম্পট দেয় ওই দুই যুবক। ভর সন্ধ্যায় এমন ব্যস্ত এলাকায় আদৌ এ ভাবে ছিনতাই করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে কিছুটা ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারীদের একাংশ। তার উপরে মহিলা জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে তাঁর সঙ্গে ছেলে ও পুত্রবধূও ছিলেন। সে কারণেই ছিনতাইয়ের পদ্ধতিটি আরও অস্বাভাবিক লাগছে পুলিশের।
অস্ত্র দেখিয়ে লুঠের ক্ষেত্রে রাহাজানির মামলা হওয়াই দস্তুর। কিন্তু অভিযোগকারিণী লিখিত অভিযোগে আগ্নোস্ত্রের কথা উল্লেখ করেননি, তাই পুলিশ আপাতত ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত জুন ও জুলাই মাসে শহরে ৪০টির মতো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। অগস্টের গোড়ায় ছিনতাইবাজদের একটি দলকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া কয়েকটি হার। তার পরে সপ্তাহ দুয়েক শহরে ছিনতাইয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy