শনিবার দুপুরে মেট্রোতে আত্মাহত্যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় কলকাতার লাইফ লাইন। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ এসপ্ল্যানেড স্টেশনে এক তরুণীর আত্মহত্যার জেরে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। কী কারণে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রয়েছে একটা সময় পর্যন্ত জানত না মেট্রো কর্তৃপক্ষও। বিভিন্ন স্টেশনে ভুল ঘোষণা হওয়াতেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল যাত্রীদের মধ্যে।
এদিন দুপুর ২টো নাগাদ কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী মেট্রো এসপ্ল্যানেড স্টেশনে ঢোকার মুখে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয় এক তরুণী। ট্রেনচালক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকটি রেক তরুণীর দেহের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনার জেরে ময়দান থেকে সেন্ট্রাল স্টেশনের মধ্যে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত ছিল। যদিও ময়দান থেকে নিউ গড়িয়া এবং অন্যদিকে সেন্ট্রাল থেকে দমদম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সাড়ে তিনটের পর থেকে ফের দমদম-নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। সেই সময় মেট্রোর মধ্যে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন, কী কারণে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রয়েছে স্টেশন মাস্টারদের এবং নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা কোনও কারণ জানাতে পারেননি। সেই সময় যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল বলেও অভিযোগ। শনিবারের ভিড়ে ঠাসা এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে কী করে তরুণী আত্মহত্যা করল এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: শহর ভাসল স্বস্তির বৃষ্টিতে, ভোগাল শুধু যানজট
অন্যদিকে, মৃত তরুণীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার চালিয়েও মেট্রোয় আত্মহত্যার প্রবণতা রোখা যায়নি। নজরদারির জন্য সব স্টেশনে আরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাতে সাময়িক সাফল্য মিললেও মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা সম্পূর্ণ ভাবে রোখা যায়নি। স্টেশনে যান্ত্রিক দরজা বসিয়ে আত্মহত্যা রোখার পরিকল্পনা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা রোখার জন্য আরও নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy