Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মাদক ভর্তি ইঞ্জেকশন নিতে গিয়ে মৃত যুবক

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালির ডিংসাইপাড়ায়। মৃতের নাম সুজিত দাস (২৯)। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মাদক নিতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা।

সুজিত দাস

সুজিত দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:১৭
Share: Save:

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালির ডিংসাইপাড়ায়। মৃতের নাম সুজিত দাস (২৯)। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মাদক নিতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। সুজিতের মেসো কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মাদক নেওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল। শেষ তিন-চার মাস বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ফের নেশা করছিল। সম্ভবত ব্রাউন সুগারের নেশা করত বলেই জানি।’’ যদিও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি কুমারেশবাবুরা। তাঁর দাবি, সোমবার সকালে তাঁরা বালি থানায় গিয়ে মৌখিক ভাবে সব জানিয়েছেন।

সুজিতের পরিজনেরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ডিংসাইপাড়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ছিলেন পাড়ারই বাসিন্দা আর এক যুবক। ডিংসাইপাড়ায় যাঁর বাড়িতে আড্ডা বসেছিল, তিনিই রাত ৮টা নাগাদ সুজিতের বোন পাপিয়া দাসকে ফোন করে জানান, সুজিত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁর কোনও জ্ঞান নেই। খবর পেয়ে যান পাপিয়া, কুমারেশবাবু এবং সুজিতের এক বান্ধবী সুস্মিতা দে। এ দিন সুস্মিতা অভিযোগ করেন, ‘‘আমরা গিয়ে জানতে পারি, মাদক ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময়েই সুজিত অসুস্থ হয়ে পড়ে। ও পুরো সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বন্ধুরাই ওকে জোর করে নিয়ে যেত। বন্ধুদের জন্যই আজ প্রাণ গেল।’’ কুমারেশবাবু জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন সুজিতের ঠোঁট নীল, ক্রমাগত হেঁচকি উঠছে। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

বছরখানেক আগে সুজিতের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। বাবা কাজের সূত্রে মুর্শিদাবাদে থাকেন। বালির শ্রীচরণ সরণিতে বোনকে নিয়ে থাকতেন সুজিত। পাশেই তাঁর মাসির বাড়ি। রবিবার সুজিত ডিংসাইপাড়ায় যে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, সুজিত-সহ তাঁরা তিন জন মাদক নিচ্ছিলেন। ওই যুবক বলেন, ‘‘সুজিত ব্রাউন সুগারটা তরল করে সিরিঞ্জে ভরে হাতে ফোটাতেই নেতিয়ে পড়ে। তার পরে জ্ঞান হারায়।’’

ওই যুবকের দাবি, এক সময়ে তাঁরাও মাদক নিতেন। কিন্তু চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হন। পরে সুজিতই ফের তাঁদের নেশা করানো শুরু করেন। যুবকের আরও দাবি, ফোন করে কামারহাটি থেকে ওই ব্রাউন সুগার জোগাড় করা যায়। কখনও বালিতে এসে মাদকের পুরিয়া পৌঁছে দেওয়া হয়, কখনও আবার আড়িয়াদহ এলাকায় গিয়ে আনতে হয়। সুজিত রবিবার ১ হাজার টাকার ব্রাউন সুগার কিনে এনেছিলেন। তা দিয়েই নেশা করেছিলেন তিন জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Youth Brown Sugar Drug Injection
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE