Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
দত্তাবাদ

দুষ্কৃতীর গুলিতে আহত এক যুবক

প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীর ছোঁড়া গুলিতে আহত হলেন এক যুবক। শনিবার বিকেলে, দত্তাবাদের একটি মন্দিরের সামনে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই যুবকের নাম গণেশ দাস (৩৫)। তাঁকে ইএম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এক রাউন্ড গুলিও চলেছে বলে জেনেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৫ ০১:৪৬
Share: Save:

প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীর ছোঁড়া গুলিতে আহত হলেন এক যুবক। শনিবার বিকেলে, দত্তাবাদের একটি মন্দিরের সামনে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই যুবকের নাম গণেশ দাস (৩৫)। তাঁকে ইএম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এক রাউন্ড গুলিও চলেছে বলে জেনেছে পুলিশ। বিধাননগরের এডিসিপি দেবাশিস ধর জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভোলা সর্দার নামে এক দুষ্কৃতীর খোঁজ চলছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই মন্দিরের কাছে কয়েক জনের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল গণেশ। বিকেল পাঁচটা নাগাদ ভোলা সেখানে পৌঁছয় এবং কেউ কিছু বোঝার আগেই গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সে। গণেশের গলা ও চোয়ালের মাঝের অংশে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্ত ভোলা সর্দারের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, মারধরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে ভোলাকে তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত। দত্তাবাদের সিনেমা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় তার দাপটে বাসিন্দারা আতঙ্কিত থাকতেন। এমনকী কয়েক বছর আগে ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু ও নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতেও ভোলার নাম জড়িয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশ আরও জানায়, একটি মারামারির ঘটনায় বিধাননগর (দক্ষিণ) থানা ভোলাকে গ্রেফতারও করে। মাস খানেক আগে সে জামিন পায়। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ছাড়া পাওয়ার পরে ভোলা ইদানিং ফের দত্তাবাদে ঢুকতে চাইছিল। একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আশ্রয়ও নিয়েছিল।

গণেশকে তৃণমূলের সমর্থক বলে স্বীকার করলেও সুজিতবাবু জানান, ভোলা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। এ দিকে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত এ দিন বলেন, ‘‘যাঁর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠছে, মেট্রোর সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে সুজিতবাবুর অনুগামীদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।’’ পাল্টা দাবি করে সুজিতবাবু বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার দুষ্কৃতী নিয়ে চলার প্রয়োজন নেই। এর আগে ভোলাকে গ্রেফতারের জন্য আমিই পুলিশকে সাহায্য করেছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Duttapukur Youth shot trinamool
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE