Advertisement
E-Paper

অব্যবহৃতই রইল পুলিশের অ্যাপ

রাস্তাঘাটে বিপদে পড়লে সাহায্য পাঠাতে ‘আইওয়াচ পুলিশ’ নামে মোবাইল অ্যাপ্‌ চালু করেছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তা ব্যবহার হল না আজ পর্যন্ত। গত ডিসেম্বরে এই অ্যাপ্‌ চালু হলেও প্রশ্ন উঠেছে, কত জন নাগরিক এই পরিষেবা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? কারণ শহরে নাগরিকদের (বিশেষ করে মহিলাদের) উপরে নিত্য আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও তাঁরা এই অ্যাপের ব্যবহার করেননি বলেই দাবি পুলিশের একাংশের।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৯

রাস্তাঘাটে বিপদে পড়লে সাহায্য পাঠাতে ‘আইওয়াচ পুলিশ’ নামে মোবাইল অ্যাপ্‌ চালু করেছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তা ব্যবহার হল না আজ পর্যন্ত। গত ডিসেম্বরে এই অ্যাপ্‌ চালু হলেও প্রশ্ন উঠেছে, কত জন নাগরিক এই পরিষেবা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? কারণ শহরে নাগরিকদের (বিশেষ করে মহিলাদের) উপরে নিত্য আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও তাঁরা এই অ্যাপের ব্যবহার করেননি বলেই দাবি পুলিশের একাংশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় এক হাজার জন এই অ্যাপ্‌ ডাউনলোড করেছেন। কিন্তু বিপদে পড়ে তার মাধ্যমে সাহায্য চাননি এক জনও। পুলিশকর্তাদের মতে এর পিছনে দু’টি কারণ প্রথমত ‘১০০’ ডায়াল বা ট্রাফিকের অভিযোগে ‘১০৭৩’-র প্রচার হলেও, এই অ্যাপের তেমন প্রচার হয়নি। আবার অ্যাপ্‌ সম্পর্কে জানলেও অনেকেরই নানা ভুল ধারণাও রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, অ্যাপ্‌ থেকে পুলিশ সব তথ্য এবং তাঁর গতিবিধিও জানতে পারবে। তবে অ্যাপ্‌টি জনপ্রিয় করতে পুলিশ আরও প্রচার চালাবে বলেই জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র।

নাগরিক সুরক্ষায় কী ভাবে কাজ করে ‘আইওয়াচ পুলিশ’?

লালবাজারের কর্তারা বলছেন, স্মার্টফোনে গুগ্‌ল প্লে-স্টোর থেকে ওই অ্যাপ্‌ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। এর পরে ওই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তখন নিজের পরিচিত আট জনের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেল আইডি দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেই কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে জুড়ে যাবেন অ্যাপ্‌ ব্যবহারকারী।

পুলিশ জানিয়েছে, এই অ্যাপে থাকা বিপদসঙ্কেত ব্যবস্থা সর্বদা চালু রাখতে হবে। অ্যাপ্‌ ব্যবহারকারী বিপদে পড়লে এই বিপদসঙ্কেত ব্যবস্থায় আঙুল ছোঁয়ালেই ইন্টারনেট মারফত বিপদ-বার্তা পৌঁছবে লালবাজারের সদর কন্ট্রোল রুমে। পুলিশকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে জেনে যাবেন বিপন্ন ব্যক্তির অবস্থান।

এক পুলিশকর্তা বলেন, “ওই অ্যাপের মাধ্যমে শুধু বিপদ-বার্তা নয়, মোবাইল ক্যামেরাও স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু হয়ে ওই মুহূর্তের ৩০ সেকেন্ডের একটি অডিও-ভিডিও ফুটেজ পাঠাবে কন্ট্রোল রুমে।” ওই পুলিশকর্তার বক্তব্য, একই রকম বার্তা যাবে অ্যাপ্‌ ব্যবহারকারীর পরিচিতদের কাছেও। যাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কন্ট্রোল রুমে বিপদ-বার্তা পৌঁছনো মাত্র তা চলে যাবে নিকটবর্তী টহলদার ভ্যান ও থানায়। তাঁরাই পৌঁছবেন বিপদগ্রস্তের কাছে।

যদিও সেই বার্তা পেয়ে পুলিশ কতক্ষণে সাড়া দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পুলিশেরই নিচুতলার একাংশ। তাঁদের দাবি, এখনও থানায় ফোন করে ঠিক মতো সাড়া পান না নাগরিকেরা। অ্যাপে সাহায্য চাইলে লালবাজার কতটা সক্রিয় হবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।

shibaji dey sarkar police mobile app
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy