মাঠপুকুর-কাণ্ডে খুনের অভিযোগে ধৃত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও-সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চার্জ গঠন করল আলিপুর আদালত। এ দিন জেল-হাজত থেকে অভিযুক্তদের ১ নম্বর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তোলা হয়। খুন ছাড়াও সশস্ত্র জমায়েতের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। মামলায় ছয় অভিযুক্ত ছাড়াও জামিনে মুক্ত দেবাশিস সরকার নামে আর এক অভিযুক্ত আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চার্জ গঠন করেছে আদালত।
এ দিন বিচারক মনোজকুমার রাইয়ের এজলাসে চার্জ গঠনকে ঘিরে হট্টগোল হয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শম্ভুনাথ ও অন্যান্য অভিযুক্তেরা চিৎকার করে দাবি করেন, তাঁরা নির্দোষ। পুলিশ ষড়যন্ত্র করে তাঁদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে।
অভিযুক্তদের সমর্থনে প্রায় হাজারখানেক লোক জমা হন আদালত চত্বরে। সকলের হাতে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা। চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। অভিযুক্তদের আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের যে ধারায় অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়েছে, তা আদৌ প্রযোজ্য নয়। এই মামলার বিচার গোপনে (ক্যামেরায়) করার আর্জি জানানো হলে সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য বলেন, ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে বিচার গোপনে করার নিয়ম থাকলেও, খুনের মামলার বিচার গোপনে করার বিধান নেই। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলেও কবে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে, তার দিনক্ষণ এ দিন জানানো হয়নি।