নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে চলছে সাইকেল। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
দক্ষিণ শহরতলির অন্যতম ব্যস্ত সুকান্ত সেতু। যাদবপুরের এই উড়ালপুল দক্ষিণ শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের যোগাযোগ রক্ষা করছে। ফলে সারা দিন যানবাহনের চাপও থাকে যথেষ্ট। এরই মধ্যে ছোট-বড় গাড়ির ফাঁক গলে দ্রুতবেগে চলে যায় দু’চাকার সাইকেল। যদিও উড়ালপুলের উপর দিয়ে সাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ট্রাফিক আইনে। কিন্তু সেই বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিন-রাত চলছে সাইকেল। এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে নিত্যযাত্রী।
সেতুর যান নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ট্রাফিককর্মী বলেন, “সাইকেলআরোহীদের নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। হঠাৎ করে সেতুর উপরে সাইকেল নিয়ে হাজির হয়ে যান তাঁরা। জরিমানা করলেও শিক্ষা হয় না।” পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড সূত্রের খবর, এই সেতু থেকে প্রতি দিনই বেশ কিছু সাইকেল আটক করা হয়। কারণ সাইকেল ধীর গতির যান। ব্যস্ত এলাকায় চললে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই জরিমানাও করা হয়। পরে তাঁরা থানায় গিয়ে জরিমানা দিয়ে সাইকেল ছাড়িয়ে নিয়ে যান। তা সত্ত্বেও কী ভাবে সাইকেল চালানো হচ্ছে? এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক কর্তা বলেন, “জরিমানা করার পরেও উড়ালপুলের উপরে সাইকেল চলার কারণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব। শুধু সুকান্ত সেতু নয় শহরের সমস্ত উড়ালপুলেই সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ।”
ওই সেতু সংলগ্ন বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যে কোনও সময়ে উড়ালপুলের উপর দিয়ে সাইকেল নিয়ে লোক যাতায়াত করেন। তবুও সাইকেল চলাচল বন্ধ করা যায়নি। বাসিন্দা রতন রায় জানান, উড়ালপুলের উপর সাইকেল চালিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। পরের দিনই ফের সেতুর উপর সাইকেল যেতে দেখা গিয়েছে।”
লালবাজারে ট্রাফিক কর্তাদের মতে, ধারাবাহিক সচেতনতা মূলক প্রচার ছাড়া এই সমস্যা মিটবে না। এখনও সাধারণ মানুষের অনেকেই বুঝতে চান না যে, উড়ালপুলে সাইকেল চালানো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার সামিল।
পূর্ব যাদবপুরের ট্রাফিকগার্ডের কর্মীরা জানাচ্ছেন, সুকান্ত সেতুর ক্ষেত্রে এই সমস্যার মূল কারণ সংলগ্ন অনেক অলিগলি। তাই কোথা থেকে কে কখন সাইকেল নিয়ে উড়ালপুলে উঠছেন তা অনেক সময়ই নজর এড়িয়ে যায়। ট্রাফিক গার্ডের এক কর্তা বলেন, “সুকান্ত সেতুতে সাইকেল চালানো বন্ধে কড়া নজরদারি চলে। ‘সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ’ বলে সেতুর উপরে নোটিসও দেওয়া রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy