Advertisement
E-Paper

কলকাতার গতির ডানায় পান-গুটখার অবাধ কলঙ্ক

অক্টোবর থেকে গোটা দেশে চলছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। মেট্রো রেলেও শুরু হয়েছে এই অভিযান। কিন্তু ‘নন এসি’ মেট্রোতে উঠলেই দেখা যায় অন্য ছবি। দুই কামরার সংযোগস্থলে (ভেস্টিবুলে) পড়ে থাকে গুটখার পিক, নোংরা ও কাগজের টুকরো। গত বছরে গুটখার পিক ফেলার জরিমানা হিসাবে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করেছে কলকাতা মেট্রো রেল। তার পরেও নন এসি মেট্রোর হাল যে কে সেই।

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০৭
অলঙ্করণ: সুমন চৌধুরী

অলঙ্করণ: সুমন চৌধুরী

অক্টোবর থেকে গোটা দেশে চলছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। মেট্রো রেলেও শুরু হয়েছে এই অভিযান। কিন্তু ‘নন এসি’ মেট্রোতে উঠলেই দেখা যায় অন্য ছবি। দুই কামরার সংযোগস্থলে (ভেস্টিবুলে) পড়ে থাকে গুটখার পিক, নোংরা ও কাগজের টুকরো। গত বছরে গুটখার পিক ফেলার জরিমানা হিসাবে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করেছে কলকাতা মেট্রো রেল। তার পরেও নন এসি মেট্রোর হাল যে কে সেই।

মেট্রো রেলের এক অফিসার জানান, বরাবরই মেট্রো চত্বরকে পরিষ্কার রাখা হত। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পরে তা আরও জোরদার হয়েছে। দিনে একাধিক বার স্টেশন পরিষ্কার করা হয়। স্টেশন চত্বরে পিক বা থুতু না ফেলার জন্য মেট্রোর টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হয়। সিসিটিভিতে নজরদারিও চলে।

নিত্যযাত্রীরা জানান, স্টেশন চত্বরে পিক বা থুতু ফেলার প্রবণতা অনেক কমলেও মেট্রোর ভিতরে এখনও কিছু যাত্রী পিক ও নোংরা ফেলেন। দু’টি কামরার সংযোগস্থলে রবারের অংশ রয়েছে। সেখানেই মূলত ফেলা হয় পিক। তার ঠিক উপরেই মেট্রো রেলের তরফে পিক না ফেলার আবেদন রয়েছে।

যদিও কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে দাবি, স্টেশন চত্বরে গুটখার পিক ফেলার হার অনেকটাই কমেছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩-’১৪-য় গুটখার পিক ফেলায় জরিমানার সংখ্যা ২৫১০। সেখানে ২০১৪-’১৫-য় ১৫২২। ২০১৩-’১৪-য় জরিমানা বাবদ আয়ের পরিমাণ যেখানে ন’লক্ষ টাকারও বেশি, সেখানে ২০১৪-’১৫-য় আয় হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। জরিমানা আদায়ের অর্থের পরিমাণ হ্রাস পাওয়াকে কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সুফল এটি। নিত্যযাত্রীদের দাবি, পর্দার আড়ালে রয়েছে অন্য পরিসংখ্যান।

মেট্রো পুলিশের একাংশের মত, স্টেশনে বা খোলা জায়গায় সিসিটিভি রয়েছে। সেখানে পানের পিক ফেললে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে প্রকাশ্যে পিক ফেলা কমেছে। অন্য দিকে, নন এসি কামরার সংযোগস্থলকে নোংরা করতে বেছে নিয়েছেন কিছু যাত্রী।

নিত্যযাত্রীরা জানান, এসি মেট্রো এ ভাবে নোংরা করা হয় না। কারণ সেগুলি অনেক পরিষ্কার। নন এসি মেট্রোর অবস্থা এমনিতেই করুণ। কোথাও পাখা ঘুরছে ঢিমে তালে। কোথাও পড়ে নোংরা। অকেজো জানলা। যে কারণে এক শ্রেণির যাত্রী নোংরা ফেলতে সাহস পান।

যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র। তিনি বলেন, “মেট্রো রেলে গুটখার পিক ফেলা বন্ধ হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পরে মেট্রো এখন অনেক পরিচ্ছন্ন।”

তবু নন এসি মেট্রোর দুই কামরার সংযোগস্থলে এখনও রয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের পিক না ফেলার আবেদন।

kolkata metro cleanness
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy