নিউ টাউনকে এক পরিকল্পিত শহরের রূপ দিতে চায় রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে এ বার ফ্রান্সের স্থপতিদের এক বিশেষজ্ঞ দলকে নিউ টাউন ঘুরিয়ে দেখালেন হিডকো কর্তৃপক্ষ। নিউ টাউন দেখে খুশি তাঁরা। ইকো ট্যুরিজম পার্ক ফরাসি দলটির ভাল লেগেছে। যদিও তাঁদের মতে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খুব বেশি চওড়া হওয়ায় অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষের। রাস্তা পারাপার করাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের। সোমবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি ও বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত নগর পরিকল্পনা নিয়ে এক আলোচনাসভায় নিউ টাউন সম্পর্কে তাঁর ওই অভিজ্ঞতার কথা বলেন ফ্রান্সের নগর ও স্থপতি বিশেষজ্ঞ ফ্লোরেন্স ব্যুনু।
ওই সভায় উপস্থিত হিডকোর কর্তা তথা রাজ্যের নগরোন্নয়ন সচিব দেবাশিস সেন বলেন, “ওঁদের মতে সব বয়সের মানুষের হাঁটাচলার সুবিধায় সমতলে পথ হওয়া প্রয়োজন। আর গাড়ির জন্য নীচে বা উপরে রাস্তা করা দরকার। তাতে ব্যস্ত রাস্তার উপর মানুষকে চলাচলও করতে হবে না। দুর্ঘটনাও কমবে।” তাঁদের ওই পরামর্শ ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান দেবাশিসবাবু।
তাঁদের পরামর্শে ইতিমধ্যেই ছত্তীসগঢ়ে নয়া রাইপুর নামে একটি নতুন শহর তৈরির কাজ চলছে। চিনেও তাঁরা পরিবেশ-বান্ধব শহর গড়তে সহায়তা করেছেন। দেবাশিসবাবু জানান, হাওড়া সেতু থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত গঙ্গার পাড় বরাবর সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় সমাপ্ত। হাওড়া ও উত্তর কলকাতার দিকে আরও কাজ করতে হবে, যা আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া সম্ভব নয়। সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে জানান দেবাশিসবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy