Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

পিজির মাদক কাণ্ডে পাকড়াও দুই যুবক

অতিরিক্ত মাদক সেবনের জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের হস্টেলে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। এত দিনে ওই হাসপাতালে মাদক পাচারের অভিযোগে অভীক চৌধুরী ও মহম্মদ ইশাক নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ জানায়, ধৃত দুই যুবক ওই হাসপাতালে মাদক সরবরাহে সরাসরি যুক্ত ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৩৫
Share: Save:

অতিরিক্ত মাদক সেবনের জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের হস্টেলে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। এত দিনে ওই হাসপাতালে মাদক পাচারের অভিযোগে অভীক চৌধুরী ও মহম্মদ ইশাক নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ জানায়, ধৃত দুই যুবক ওই হাসপাতালে মাদক সরবরাহে সরাসরি যুক্ত ছিল।

ময়না-তদন্তের রিপোর্ট বলছে, ২২ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই সপ্তর্ষি দাস নামে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন মহম্মদ শাহবাজ সিদ্দিকী নামে অন্য এক জুনিয়র ডাক্তারও। ওই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা এখনও এতটাই খারাপ যে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাচ্ছেন না গোয়েন্দারা। রাজ্যের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু কারা সেখানকার হস্টেলে মাদকের জোগান দেয়, সাত দিনেও তা স্পষ্ট হয়নি। অবশেষে শুক্রবার রাতে বন্দর এলাকায় প্রথমে অভীককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দা ইশাককে ধরা হয়। সে হেরোইন, ব্রাউন সুগারের মতো মাদক নিয়ে আসত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে। তার কাছ থেকে মাদক নিত অভীক।

চক্রের হদিস মিলল কী ভাবে?

পুলিশ জানায়, সপ্তর্ষির মোবাইলে অভীকের ফোন নম্বর মেলে। তার পর থেকে ওত পাতা হচ্ছিল। এ দিন সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে মাদক কিনতে গিয়ে হাতেনাতে অভীককে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ইশাকের কাছ থেকে মাদক নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তারকে দিয়েছিল অভীক। সপ্তর্ষিরা তাদের কাছ থেকে মাদক নিতেন বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। হাসপাতালের মধ্যে আর কোন কোন জুনিয়র ডাক্তারকে মাদক সরবরাহ করা হতো, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

দুই জুনিয়র ডাক্তারকে হস্টেলের যে-ঘর থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি পুষ্পেন্দু দাশগুপ্ত নামে অন্য এক ইন্টার্নের। তিনি ওই ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, সপ্তর্ষি ও শাহবাজ হস্টেলের পাঁচতলায় তালা ভেঙে সেই ৪২৬ নম্বর ঘরে ঢোকেন। সপ্তর্ষির মৃত্যুর পরে গোয়েন্দারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, শুধু পুষ্পেন্দুর ঘরে নয়, সপ্তর্ষিরা দিনের পর দিন নিজেদের ঘরে বসেও মাদক নিতেন। পুলিশ তাঁদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, ব্রাউন সুগার ও তরল পদার্থ পেয়েছে।

শুক্রবার রাতেই হেরোইন-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ মহসিন। ই এম বাইপাসে অম্বেডকর সেতুর কাছে ধরা পড়ে সে। তার বাড়ি তপসিয়া রোডে। ধৃতের কাছে ৪২ পুরিয়া হেরোইন পাওয়া গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sskm medical college saptarshi mondal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE