সেজে উঠছে সেই পুকুর।
শুধু জলাশয়ের সংস্কারই নয়, তাতে ওয়াটারপোলো খেলারও ব্যবস্থা হল। এ ছবি দেখা গেল রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মজে যাওয়া পুকুর ছিল। পুকুরটি বাহাদুরবাগানের পুকুর বলেই এলাকায় পরিচিত। পুকুরের ধারে জঞ্জালের স্তূপ হয়ে গিয়েছিল। বাসিন্দারা পুরসভার কাছে পুকুরটি বাঁচানোর আর্জি জানান। এর পরে উদ্যোগী হয় পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, বাহাদুরবাগানের পুকুরটি ২০১২-এ মালিকের থেকে পুরসভা কিনে নেয়। তার পরে ২২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে শুরু হয় সেটির সংস্কারের কাজ। পুকুরের চার ধারে হাঁটার জন্য পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বসেছে বাহারি আলো। পুকুরের চারপাশে বসানো হয়েছে নানা রকম ফুল গাছও। এর পরের সংযোজন ওয়াটারপোলো খেলার ব্যবস্থা। এই পুকুরে স্থানীয় একটি ক্লাব ওয়াটারপোলো শেখাতে উদ্যোগী হয়েছে। এখানে পেশাদার খেলোয়াড়রাও খেলতে আসছেন। যেমন দেবব্রত রায়কর্মকার। তিনি বলেন, “আগে ওয়াটারপোলো খেলতে কলেজ স্কোয়্যার যেতে হত। এখন ঘরের সামনেই খেলার সুযোগ। ছোটরাও এখন খেলতে আসছে।”
খেলায় মেতেছে ছেলেরা। ছবি: শৌভিক দে।
খুব খুশি ছোটরা। তাদের ওয়াটারপোলো সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না। পুকুরে ওয়াটারপোলোর গোলপোস্ট বসানোর পরে তারা নেমে পড়ে।
ধীরে ধীরে শিখছে খেলা। এই ছোটদের খেলা শেখাচ্ছেন সন্দীপ দত্ত। তিনি বলেন, “ওয়াটারপোলো শেখার জন্য ক্রমেই ভিড় বাড়ছে এখানে। এই পুকুরে এ বার ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হচ্ছে।”
খুশি ছোটোদের অভিভাবকরাও। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকায় কোনও খেলার মাঠ নেই। ওয়াটারপোলো খেলে ছোটদের শরীরচর্চা হচ্ছে। নতুন ধরণের খেলা শিখতে বেজায় উৎসাহ দেখাচ্ছে ওরা। পুকুরের পাশেই থাকেন রমিতা মণ্ডল। রমিতাদেবীর কথায়: “পুকুরে এত জঞ্জাল জমেছিল যে দুর্গন্ধে পুকুরের ধারের জানলাটি খুলতেই পারতাম না। এখন ওই পরিবেশটাই বদলে গিয়েছে। ওই জানলা এখন সব সময় খুলে রাখি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy