চলছে বিপজ্জনক পারাপার।
যাদবপুরে নিরাপদে রেললাইন পার করার জন্য ভূগর্ভস্থ পথ রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ পথচারীই তা ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ। বিপজ্জনক ভাবে লাইন পার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও হুঁশ ফেরেনি পথচারীদের।
বিবেক নগর, গড়ফা, হালতু, রামলাল বাজার, নেলিনগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা যাদবপুর রেলগেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, এইট-বি বাসস্ট্যান্ড এবং টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনে যান। এ ভাবে লাইন পার করতে গিয়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বছরখানেক আগে এ ভাবে লাইন পার হতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকও।
দুর্ঘটনা এড়াতে যাদবপুর রেলগেটে ভূগর্ভস্থ পথের দাবি করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে যাদবপুর রেলগেটে একটি ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণ করেছিল রেল।
বেশিরভাগ যাত্রী এড়িয়ে যান ভূগর্ভস্থ পথ।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগেও ওই ভূগর্ভস্থ পথে জল জমা এবং আলো খারাপ থাকার অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগ পেয়ে ওই ভূগর্ভস্থ পথ সংস্কার করা হয় বলে রেল কর্তাদের দাবি। তার পরেও অধিকাংশ পথচারী তা ব্যবহার করেন না। রেল-কর্তারা জানান, জনগণ সচেতন না হলে এই ধরণের সমস্যার সুরাহা খুব কঠিন। নিরাপদে যাতায়াতের জন্য নিজেরাই ভূগর্ভস্থ পথের দাবি করেছিলেন। তার পরেও কেন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন পথচারীরা? পথচারীরা জানান, ভূগর্ভস্থ পথ দিয়ে যেতে গেলে সময় লাগে। লাইনের উপর দিয়ে সহজেই যাওয়া যায়। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তন্ময় রায় বলেন, “এ ভাবেই দীর্ঘ দিন ধরে লোকে যাতায়াত করছেন। তখন ঝুঁকির কথা মাথায় থাকে না।”
রেল দফতর জানিয়েছে, এ ভাবে লাইন পেরিয়ে যাতায়াত করা আইনত অপরাধ। এর জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না বলে রেল কর্তারা জানান। রেল কর্তাদের মতে, আইন প্রয়োগ করে এই কাজ বন্ধ করা খুবই কঠিন। পথচারীরা সচেতন না হলে এই ধরনের সমস্যার থেকে রেহাই মেলার অন্য কোনও রাস্তা নেই।
পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “বছরের বিভিন্ন সময়ে রেললাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করতে পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়। তার পরেও বার বার একই ছবি দেখা যায়। তাই এ বার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।”
ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy