বচসার জেরে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল এলাকারই আর এক যুবক ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ফুলবাগান থানা এলাকার রামকৃষ্ণ সমাধি রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সত্যেন্দ্র রাই (২০)। বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছেই মতিলাল বসাক লেনে। তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে দুধ বিক্রি করতেন।
মৃতের দাদা জিতেন্দ্র রাইয়ের অভিযোগ, রামকৃষ্ণ সমাধি রোডে এপিসি পার্কের পাশে মদের আসর বসা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে গোলমাল চলছিল স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব জানা, উত্তম রাই ও তার দলবলের। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় জয়দেব, উত্তম ও তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সত্যেন্দ্রর বন্ধু দীনেশ গুপ্তর। সত্যেন্দ্র হস্তক্ষেপ করায় তখন গোলমাল মেটে।
জিতেন্দ্র পুলিশকে জানান, রাত ১২টা নাগাদ হঠাৎই গুলির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। বেরিয়ে দেখেন, কিছু দূরে এক যুবক উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। কাছে গিয়ে তাঁকে তুলতেই চমকে ওঠেন তিনি। দেখেন, ওই যুবকটি সত্যেন্দ্র। বুকে গুলি লেগেছে। জিতেন্দ্রই দৌড়ে গিয়ে পুলিশে খবর দেন। হাসপাতালে সত্যেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জিতেন্দ্র জানান, সত্যেন্দ্রর দেড় বছরের ছেলে রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিহারে দেশের বাড়িতে। জিতেন্দ্র বলেন, “ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। এলাকায় অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত। গুলির আওয়াজ শুনে ভাবতেই পারিনি ওকে কেউ খুন করতে পারে।”
খবর পেয়ে মঙ্গলবার এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক, তৃণমূলের পরেশ পাল। তিনি বলেন, “বহিরাগতেরা এই ঘটনায় জড়িত। পুলিশকে বলেছি কাউকেই যেন ছাড়া না হয়।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, থানা থেকে ঢিল-ছোড়া দূরত্বে অসামাজিক কাজকর্ম চলে। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয় না। অভিযোগ অস্বীকার করে যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, মৃতের দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় ক’জন যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।