জ্বলছে বহুতল। শনিবার বিশ্বনাথ বণিকের তোলা ছবি।
পুরনো কলকাতার বহুতলে অগ্নিসুরক্ষার দৈন্যদশা ফের বেআব্রু হয়ে গেল। এ বার ঘটনাস্থল, চাঁদনি চক এলাকার হিন্দুস্থান বিল্ডিং। দমকলের ১১টি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো হিমশিম খেল।
এ যাত্রা ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গেল দমকলের ৩০ মিটার উঁচু একটি যন্ত্রচালিত মই বা স্কাইললিফ্টকে। যার সৌজন্যে বহুতলটির মাথা অবধি পৌঁছনো সম্ভব হল। দমকলের ডিভিশনাল অফিসার দিলীপকুমার দাসের কথায়, “সম্ভবত লিফ্টের শ্যাফ্ট থেকেই আগুন ছড়িয়েছে। জায়গাটিকে চিহ্নিত করে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব হয়েছে।” শনিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। তবে ঠিক কী কারণে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরের বাড়িটির আগুন লেগেছিল, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন দমকল-কর্তারা। দমকল ও পুলিশ সূত্রের খবর, বহুতলটির লিফ্টের শ্যাফটে এ দিন দুপুর থেকেই ওয়েল্ডিং-এর কাজ চলছিল। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায় বলে অনুমান দমকল-কর্তাদের। বহুতলটিতে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল না বলে অনুমান তাঁদের। কারণ তা থাকলে, আগুন ছড়ানোর আগেই বিষয়টি নজরে আসত। স্থানীয় লোকজনের থেকে খবর পেয়ে দমকলকে মাঠে নামতে হতো না।
এমনিতে বহুতলটি ৩০ মিটারের বেশি উঁচু। সাত তলা বাড়ি। তবে এখনকার বহুতলগুলির সঙ্গে তুলনা করলে উচ্চতা অন্তত দশ তলা। অত উঁচু বাড়ির মাথায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাডান স্ট্রিটের দিকে কিছুটা চাঙড় ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক বাড়ে। তবে শেষমেশ আগুন ছড়ায়নি। বহুতলটিতে কোনও লোকজন না-থাকায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন দমকল-কর্তারা। আগুন নেভানোর পর বহুতলের উপরের তলাগুলির কাচ ভেঙে ধোঁয়া বের করেন দমকল-কর্মীরা।
বহুতলটিতে জীবন বিমা নিগম-সহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার অফিস। রাতে কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি জানান, বহুতলটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে কথা করবেন। আগুন নেভানোর ব্যবস্থায় খামতি ছিল কি না, তা খুঁটিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ, রবিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা এসে বহুতলটির অবস্থা খতিয়ে দেখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy