৩৯ দিনের মাথায় সাময়িক ভাবে অনশন তুলে নিলেন কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় অনশন তুলে নেন তিনি।
সারদা মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল। এর আগেও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থাকাকালীন শাসক দলের বেশ কয়েক জন নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। সারদা মামলায় তৃণমূলের বিভিন্ন হেভিওয়েটদের নাম জড়ালেও তাঁদের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে বার বার বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন কুণাল। সারদা-কাণ্ডে জেলে থাকাকালীন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা পেলেও তিনি তা অন্যায় ভাবে পাননি বলেও অভিযোগ ছিল কুণালের। তা নিয়েও জেলে বেশ কয়েক বার অনশন করেছেন তিনি। জেল-সহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের জন্য তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন কুণাল। কুণালের দাবিদাওয়ার মধ্যে কয়েকটি জেল কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও তাঁর সবক’টি দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া, জেলে বসে তাঁর লেখাগুলি মায়ের হাতে তুলে দেওয়ারও আবেদন করেছেন তিনি। আদালত সে দাবিও মেনে নিয়েছে।
এ ছাড়াও কুণালের তোলা বৈষম্যের অভিযোগগুলি আদালত শুনতে রাজি হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর আদালতে সেই অভিযোগের শুনানি হবে। যেহেতু অনশন চলাকালীন জেল থেকে তাঁকে আদালতে যেতে দেওয়া হবে না, সে জন্য অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কুণাল। ২০ নভেম্বর, শুক্রবার তিনি আদালতে শুনানির সময় হাজির থাকবেন বলে সূত্রের খবর। যদিও এ দিন তিনি জানিয়েছেন, এই অনশন সাময়িক ভাবে তুলে নিলেন। প্রতিশ্রুতিভঙ্গ হলে ফের অনশনের পথেই হাঁটবেন তিনি।