Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Suvendu Adhikari

নিজের বাবাকে আগে দলত্যাগ বিরোধী আইন শেখান, শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ কুণালের

দলত্যাগ বিরোধী আইনে কী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা তিনি ভালই জানেন— মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের।

শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডেবরা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২১ ১২:৪৬
Share: Save:

বিধায়করা দলবদল করলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে কী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা তিনি ভালই জানেন— মুকুল রায়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুর বাবা শিশিরের প্রসঙ্গ টানলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সরাসরিই বলছেন, ‘‘অন্যদের জন্য আইনের জ্ঞান না ছড়িয়ে শুভেন্দুবাবু তো নিজের বাবাকে এ কথা বলতে পারেন। বিজেপির সভামঞ্চ আলো করার পরে কয়েক মাস কেটে গেলেও শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েননি কেন, তার ব্যাখ্যা দিন।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতিরও কটাক্ষ, “ওঁর (শুভেন্দুর) উচিত আগে ঘরে দলবিরোধী আইন কার্যকর করা। পরে রাজ্যের বিষয়ে ভাববেন।”

শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে এসেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মাননীয়া ও তাঁর দল জেনে রাখুন, দলত্যাগ বিরোধী আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করার পদ্ধতি আমি জানি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি দলত্যাগ বিরোধী আইন এ রাজ্যে কার্যকর করে দেখাব। তাতে ২-৩ মাস লাগতে পারে।” এর পরই পাল্টা তৃণমূল মনে করিয়ে দেয়, শুভেন্দুর পিতা শিশির অধিকারীও তো পদ্ম-পতাকা হাতে ধরার পরেও খাতায়কলমে তৃণমূলের সাংসদ রয়েছেন। কই তিনি তো ইস্তফা দেননি?

ক’দিন আগেও ‘তৃণমূলের দল ভাঙানোর খেলা বন্ধে’ এই আইন কার্যকরের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। তবে এ দিন তিনি ব্যক্তি মুকুলের বিজেপি ত্যাগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুভেন্দু শুধু বলেছেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রে একজন যদি সব পদ ছেড়ে দলবদল করেন তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু উনি (তৃণমূলনেত্রী) যা করেছেন তাতে কংগ্রেস, সিপিএমের বিধায়করা তৃণমূলের খাতায় ঢুকেছেন। এ বার মুকুলবাবুকে দিয়ে শুরু করলেন।’’

তৃণমূলও দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নেই পাল্টা বিঁধেছে শুভেন্দুকে। বস্তুত, আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেও মুকুল এখনও কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। ফলে, বিধানসভায় তাঁর ভবিষ্যৎ অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে কংগ্রেস ও বাম দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া একগুচ্ছ বিধায়ক রয়েছেন যাঁদের ক্ষেত্রে দলবদল কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ, এ ক্ষেত্রে বিষয়টি স্পিকারের বিবেচনাধীন।

ডেবরায় শুভেন্দুর বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির ২১ জন জেলা কমিটির পদাধিকারী, ২৯ জন মণ্ডল সভাপতি ও যুব মোর্চার পদাধিকারী-সহ ৫৭ জন। আগামী রাজনৈতিক কার্যকলাপ ছাড়াও দলের ঘরছাড়াদের ফেরাতে কী করণীয় সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suvendu Adhikari Kunal Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE