তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত এবং নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে বিতর্কিত নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে প্রার্থী করার প্রস্তাব নাড়াচাড়া করছে বিজেপি।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আবেদন নিয়ে তাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অধুনা ‘ভারত নির্মাণ পার্টি’র নেতা লক্ষ্মণবাবু। তখনই তিনি দিলীপবাবুকে তমলুক লোকসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু দু’পক্ষের কেউই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি। বিজেপি নেতৃত্ব ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা করেছিলেন, তমলুকেরই প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণবাবুকে দলে নিলে লাভ না ক্ষতি, সেটা আগে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তিনি বিজেপি-তে এলে সেই বোঝা তাদের ঘাড়েও চাপতে পারে। দলের একাংশের আরও বক্তব্য ছিল, নিজের মালিকানাধীন কলেজগুলির জটিলতা মেটানোর স্বার্থেই কেন্দ্রের শাসক দলে যোগ দিতে চাইছেন লক্ষ্মণবাবু। এর পরে বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
শেষ পর্যন্ত লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি রবিবার প্রকাশ্যে এনেছেন দিলীপবাবুই। হলদিয়ার বন্দর অফিসার্স ক্লাবে শুক্রবার থেকে বিজেপি-র প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। সেই শিবিরের ফাঁকে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্মণ শেঠের কাছ থেকে তমলুক লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে দাঁড়াবার প্রস্তাব এসেছে। আমি তো একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। দলে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ জুলাই মাসে হলদিয়ার একটি হোটেলে দিলীপবাবু এবং লক্ষ্মণবাবুর বৈঠক হয়েছিল। লক্ষ্মণবাবু সেই বৈঠকের কথা স্বীকার করেই বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রাথমিক কিছু আলোচনা হয়েছে মাত্র। প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে এ দিন অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী এ বছর বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতে মন্ত্রী হয়ে তমলুকের সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ায় ওই লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy