বিজেপি-তে নবাগত লক্ষ্মণ শেঠকে পুরনো একটি মামলায় নোটিস পাঠাল পুলিশ। নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে অভিযুক্ত তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ এবং সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নেতা লক্ষ্মণবাবু সম্প্রতি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি পুরনো মামলা ফের খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিজেপি সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় লক্ষ্মণবাবুর বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলা ছিল। সেটিতেই তাঁকে ফের নোটিস পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্মণবাবুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মামলার নোটিস পাওয়ার খবর স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর বিজেপি-তে যোগদানের ফলেই ওই মামলা খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। লক্ষ্মণবাবুকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে মতানৈক্য ছিলই। এখন তাঁর নাম ফের মামলায় জড়ানোয় দলের একাংশের অসন্তোষ আরও বেড়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাহুল সিংহ দলের রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন লক্ষ্মণবাবু বহু বার তাঁকে ফোন করে দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের কেলেঙ্কারিতে জড়িত এক জন প্রাক্তন সিপিএম নেতাকে দলে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেননি তৎকালীন রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতিত্বের আমলে সেই লক্ষ্মণবাবুই বিজেপি-তে প্রবেশাধিকার পেয়ে যাওয়ায় দলের অনেকেই অসন্তুষ্ট। তাঁদের অভিমত, এর আগে যখন লক্ষ্মণবাবু বিজেপি-তে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কিছু অনুগামী ছিল। তা সত্ত্বেও নন্দীগ্রামের কলঙ্কের দায় নিজেদের ঘাড়ে নিতে চাননি বলে তৎকালীন নেতৃত্ব লক্ষ্মণবাবুকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এখন তাঁর সঙ্গে অনুগামীর সংখ্যা আগের চেয়েও কম। আর নন্দীগ্রামের দায় থেকেও তিনি মুক্তি পাননি। তার উপরে সামনে তমলুক লোকসভার উপনির্বাচন, যেখানে বিজেপি-র সংগঠনের জোরও বিশেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মণবাবুকে দলে নিয়ে লোকসানই হল। এমনকী, লক্ষ্মণবাবুকে দলে নেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের একাংশ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে।