E-Paper

শহরের পথে ভিড় টানল বামেদের শান্তি মিছিল

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, লিবারেশনের কার্তিক পাল, বাসুদেব বসু, এসইউসি-র চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য-সহ বাম দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব নেমেছিলেন পথে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:৫৯
বামেদের ডাকে শান্তি মিছিল। কলকাতায়।

বামেদের ডাকে শান্তি মিছিল। কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র।

বাম দলগুলির ডাকা শান্তি মিছিলে চোখে পড়ার মতো ভিড় হল শহরের রাজপথে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির প্রতিবাদে এবং প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোমবার ‘সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী দিবসে’ এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বামফ্রন্টের সব শরিক দলের পাশাপাশি সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এবং এসইউসি অংশগ্রহণ করেছিল এই প্রতিবাদে। শামিল হয়েছিল বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনও। আশেপাশের এলাকা ও জেলা থেকে বাম সমর্থকেরা প্রথমে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’টি মিছিল নিয়ে ধর্মতলায় এসেছিলেন। তার পরে লেনিন মূর্তির কাছে জমায়েত হয়ে মিছিল যায় কলেজ স্কোয়ারের দিকে। বাম নেতারা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলেও পুলিশের অনুরোধে লেনিন সরণি হয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার ঘুরে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট ধরে কলেজ স্কোয়ারের দিকে এগিয়েছে শান্তি মিছিল। সেই মিছিলের মাথা যখন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার ছাড়িয়েছে, তখনও ধর্মতলার মোড়ে অপেক্ষমাণ ছিল ভিড়ের শেষ ভাগ। মিছিলের চাপে ধর্মতলার সঙ্গে সংযুক্ত সব রাস্তায় যান চলাচল থমকে গিয়েছিল।

বামেদের ডাকে শান্তি মিছিল। কলকাতায়।

বামেদের ডাকে শান্তি মিছিল। কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, লিবারেশনের কার্তিক পাল, বাসুদেব বসু, এসইউসি-র চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য-সহ বাম দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব নেমেছিলেন পথে। মিছিল শুরুর আগে সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের কৃষি, বস্ত্র শিল্প, দুগ্ধজাত শিল্প সব আক্রমণের মুখে। এর মধ্যে অন্যায় ভাবে ৫০% আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এশিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দাপাদাপি এশিয়ায় কমাতে হলে রাশিয়া, চিন ও ভারতকে কাছাকাছি আসতে হবে। ‘ব্রিকস’-এর দেশ, যেমন ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিনকে কাছাকাছি আসতে হবে।’’ পাশাপাশিই তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী এখন চিনে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করছেন। চিন আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা আছে। সংঘর্ষ নয়, আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধের সমাধান করতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা এই কথাই বলে আসছি। সংঘর্ষের মাসুল আমাদের দিতে হয়েছে অতীতে, এখন সমন্বয়ের সুফল নিতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

cpm rally CPM

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy