অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
মহাধুমধাম করে আগামী ৫ ডিসেম্বর রাজ্যে রথযাত্রা শুরু করবে বিজেপি। সবর্ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হাজির থাকার কথা সেই কর্মসূচিতে। তার ঠিক পরের দিনই কলকাতায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বার্তা নিয়ে ‘মহামিছিল’ করবে বামেরা। ওই মিছিলের আগে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী জেলায় জেলায় চলবে প্রচার, সভা, মিছিল। কালীপুজোর দিন প্রথমে বামফ্রন্ট ও পরে ১৭ বাম দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গেই ঠিক হয়েছে, তৃণমূল ও বিজেপির মোকাবিলায় আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে হবে বামেদের ব্রিগে়ড সমাবেশ।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন, ৬ ডিসেম্বর সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী এবং সম্প্রীতি দিবস হিসাবে পালন করে নানা সংগঠন। বামেরা ওই দিনে মিছিল করে প্রতি বছরই। কিন্তু এ বার বিজেপির রথযাত্রার প্রেক্ষিতেই সেই মিছিল অনেক বড় আকারে করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শহরে কেন্দ্রীয় মিছিলের পাশাপাশিই জেলায় জেলায় বামেরা সে দিন পথে নামবে। আর উৎসবের মেজাজ ফুরোলেই এক দিকে ‘মহামিছিল’ এবং অন্য দিকে ৮-৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার চলবে। সব কর্মসূচিতেই বিজেপির রথযাত্রার মোড়কে মেরুকরণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার চালানোর জন্য কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন বাম নেতারা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ইতিমধ্যেই আহ্বান জানিয়ে রেখেছেন, ‘‘বিজেপির রথের চাকায় রক্তের দাগ লেগে আছে! এ রাজ্যের মেহনতি মানুষকে পাঁচিল গড়ে তুলতে হবে, যাতে সেই রথ ভ্রাতৃঘাতী অশান্তি বাধাতে না পারে।’’
প্রথমে ব্রিগে়ডে সভা করার পরিকল্পনা না থাকলেও তৃণমূল এবং বিজেপির জোড়া সমাবেশের ‘চাপে’ মত বদলাতে হয়েছিল বামেদের। আলিমুদ্দিনে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, বামেদের ব্রিগে়ড সমাবেশ হবে পরীক্ষার মরসুম শুরুর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে। তৃণমূলের ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি এবং সিপিআইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠালেও এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কোনও বাম শরিকই ওই প্রস্তাবে সাড়া দেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy