—ফাইল চিত্র।
সিঙ্গুরে ফের শিল্প আনার দাবিতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বামেরা। এক দিকে তারা যেমন বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে এই মর্মে প্রস্তাব আনছে, তেমনই চলতি সপ্তাহে সিঙ্গুরের গ্রামে গিয়ে নিশিযাপন করে স্থানীয় মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন। তার পরে কাজের দাবিতেই আগামী মাসে হবে সিঙ্গুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত পদযাত্রা।
লোকসভা ভোটে এ বার সিঙ্গুরে ‘লিড’ পেয়েছে বিজেপি। বামফ্রন্ট সরকারের সুরেই এখন বিজেপি সিঙ্গুরে শিল্প আনার দাবিতে সরব হয়েছে। এখন বিজেপিকে ময়দান ছেড়ে না দেওয়ার লক্ষ্যেই বামেরা ফের সিঙ্গুর নিয়ে তৎপরতা বাড়াচ্ছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের অভিমত। বিধানসভার বিগত অধিবেশনে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষ কৃষিকাজে উৎসাহ হারাচ্ছেন। টাটার কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও সেখানে যে চাষের কাজ আগের মতো হচ্ছে না, তা নিয়ে আগে থেকেই সরব বামেরা। মুখ্যমন্ত্রীর ওই জবাবে সূত্র ধরেই এ বারের অধিবেশনে ১৮৫ ধারায় বেসরকারি প্রস্তাব এনে সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনের দাবি তুলতে চাইছে তারা। এই উদ্যোগে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস রয়েছে বামেদের পাশেই। সুজনবাবু বলেন, ‘‘সিঙ্গুরে শিল্প হয়নি, চাষও হচ্ছে না। সেখানে মানুষের রোজগার কমছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্পের জন্যই নতুন করে চেষ্টা হোক।’’
বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবিতে ১২-১৩ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর থেকে কলকাতা পদযাত্রার ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। তার আগে কাল, শুক্রবার থেকে রবিবার (২৩ থেকে ২৫ অগস্ট) সিঙ্গুরে তেরাত্রি কাটাবেন যুব সিপিএম কর্মীরা। কেন শিল্প ও কাজের দাবি তাঁরা তুলছেন, সেই প্রসঙ্গেই স্থানীয়দের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন তাঁরা। এটা কি তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’য় নেতাদের এলাকায় এলাকায় রাত কাটানো থেকে ‘অনুপ্রাণিত’? ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেন, ‘‘আমরা প্রশান্ত কিশোরের কথায় চলছি না! সারা রাজ্যে চাকরির প্রতীকী আবেদনপত্রে মানুষের সই সংগ্রহ করছি। সিঙ্গুরের যবুক-যুবতী ও কৃষকদের কাছে তা নিয়ে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy